রংপুরে একদিনে পানিতে ডুবে ৫ শিশুর মৃত্যু

জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরে একদিনে পানিতে ডুবে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলো নগরীর ভুরারঘাট এলাকার আনিছুল হকের মেয়ে আরশি বেগম (১০), রতন মিয়ার ছেলে মোরসালিন আহমেদ জিম (৭), পায়রাবন্দ ইউনিয়নের আঠারোকাটা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে আয়শা (৯), একই গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে আয়াত (৯), এবং মিঠাপুকুর পশ্চিম বড়বালা গ্রামের এরশাদুলের মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত মাইশা (১)।

বুধবার দুপুর থেকে বিকালের মধ্যে ঘাঘট নদ ও পুকুরের পানিতে ডুবে পৃথক তিনটি ঘটনায় এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিঠাপুকুরের পশ্চিম বড়বালা গ্রামে শিশু মাইশা বাড়ির উঠানে খেলছিল। সকাল ৮টার দিকে সে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে পানিতে ডুবে মারা যায়। স্থানীয়রা তার লাশ পুকুরে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ।

এদিকে, বুধবার দুপুর ২টায় আজমাইন ও জিম রংপুর নগরীর ভুরারঘাট এলাকায় ঘাঘট নদে গোসল করতে নামে এবং তারা পানিতে ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয়রা দুই শিশুকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আতাউর রহমান এবং সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকারিয়া ইসলাম শিপলু।

অপরদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের দমদমা ব্রিজ সংলগ্ন আঠারকোটা গ্রামে ঘাঘট নদে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায় আয়শা ও আয়াত। স্থানীয় এক বৃদ্ধা তাদের পানিতে ডুবতে দেখে চিৎকার করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পায়রাবন্দ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলাম।