বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। একের পর এক নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হচ্ছে মেটার মালিকানাধীন সাইটটি। ব্যবহারকারীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতেই নতুন সব ফিচার যুক্ত করছে তারা।
হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজিং চ্যাটের পাশাপাশি ছবি, ভিডিও, ফাইল আদান-প্রদান করা যায়। এছাড়া এখন আছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল। যেখানে ব্যবহারকারীরা নিজেদের নামে চ্যানেল খুলতে পারবেন এবং আয় করতে পারবেন। তবে জানেন কি? এতসব সুবিধা থাকার পরও বিশ্বের ৫ দেশে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা হয় না। সেখানে নিষিদ্ধ এই জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ।
১.সিরিয়া : ২০১১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত একটি দেশ সিরিয়া। যার ফলে সব যোগাযোগ এবং তথ্য-প্রচারের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছে সিরিয়ার সরকার। এই দেশের মানুষদের কাছে কোনো মার্কিন অ্যাপ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। যার মধ্যে রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই দেশের সরকার মনে করে, এই অ্যাপ বিদ্রোহীদের কাছে যোগাযোগের একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
২.উত্তর কোরিয়া : এই দেশের সরকারের পক্ষ থেকে খুবই কঠোরভাবে ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কয়েকজন সরকারি আধিকারীকদের কাছেই ইন্টারনেট ব্যবহার করার অনুমতি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করবে তা ভাবাটাই বোকামি। শুধু হোয়াটসঅ্যাপ নয়, সমস্ত বিদেশি অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট নিষিদ্ধ উত্তর কোরিয়াতে।
৩.চীন : ফেসবুকের পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপও নিষিদ্ধ চীনে। কঠোর নিরাপত্তার কারণে মার্কিন সংস্থার এই মেসেজিং অ্যাপ সেদেশের মানুষে ব্যবহার করতে পারেন না। যদিও বেশ কিছু বিকল্প উপায় যেমন ভিপিএনের মাধ্যমে অ্যাপটি ব্যবহার করা যায়। কিন্তু এই দেশে হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য উপলব্ধ নেই। হোয়াটসঅ্যাপের বদলে চীনের নাগরিকেরা তাদের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ উইচ্যাট ব্যবহার করে।
৪.ইরান : দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি এবং প্রতিবাদের কারণে ইরান সরকার হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। এই দেশের সরকার মনে করে মেটা মালিকাধীন এই হোয়াটসঅ্যাপ একটি ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্রের অংশ। যে কারণে এই দেশে কোথাও চলে না এই মেসেজিং অ্যাপ।
৫.তুরস্ক : পর্যটনের জন্য বেশ পরিচিত একটি দেশ তুরস্ক। প্রতি বছর এই দেশে লাখ লাখ মানুষ আসেন ঘুরতে। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এই দেশে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ফেসবুক, ইউটিউব এবং হোয়াটসঅ্যাপ। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ নিয়ে ভীষণ কড়াকড়ি এই দেশের সরকার। ভুল তথ্য এবং সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর জন্য আইনের প্রস্তাব করে দেশের নেতারা। এমনকি অ্যাপ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবহারকারীদের ডাটাও চেয়েছিল তুরস্ক।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।