লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা সংখ্যায় শীর্ষে। গত পাঁচ বছরে ইতালিতে প্রবেশ করেছে ৯০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি। সমুদ্রপাড়ি দিতে গিয়ে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। এই অবস্থায় সবাইকে নিরাপদ ও বৈধ পথে ইতালি আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ইতালি পৌঁছাতে বেশিরভাগ বাংলাদেশি অভিবাসী ব্যবহার করেন ভূমধ্যসাগরের বিপজ্জনক জলপথ। এই পথে অনেকের স্বপ্নই ডুবে গেছে সমুদ্রের ঢেউয়ে। অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনায় হারিয়েছে বহু জীবন। কট্টর ডানপন্থি মেলোনি সরকার অবৈধ অভিবাসন রোধে নানা পদক্ষেপ নেয়ার পরও সফল হয়নি।
চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছায় ৬৩ হাজার ২৬০ জন অভিবাসন প্রত্যাশী। এর মধ্যে সর্বাধিক ১৯ হাজার ২৮৩ জন বাংলাদেশি। ২০০০ সালে ইতালি অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার পর থেকে গত পাঁচ বছরে ৯০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি দেশটিতে প্রবেশ করেছে।
দেশটি ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে পাঁচ লাখ শ্রমিক নেয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। এই কোটায় আবেদন করতে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ফরম পূরণ করতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা সতর্ক করে বলেছেন, অবৈধ পথে না এসে, বৈধভাবে আসাই সঠিক।
ভূমধ্যসাগরের পাশাপাশি অনেক বাংলাদেশি রোমানিয়া ও আলবেনিয়া হয়ে সড়কপথে ইতালিতে আসেন। স্পন্সর ভিসার মাধ্যমে আসার ক্ষেত্রে দালালদের কারণে বহু মানুষ অবৈধ হয়ে পড়েছেন। ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতালিতে বর্তমানে দেড় লাখেরও বেশি বাংলাদেশি অবৈধভাবে অবস্থান করছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশসহ ২২টি দেশকে নিরাপদ দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইতালি। ইউরোপীয় ইউনিয়নও অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ও মিশরকে নিরাপদ দেশ ঘোষণা করার প্রস্তাব বিবেচনা করছে। এর ফলে মানবিক বা রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী নাগরিকদের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে। নিরাপদ দেশের নাগরিকরা সাধারণত আশ্রয় আবেদন করতে পারেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



