জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর বাড্ডায় আফতাবনগর হাউজিং এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অন্যায় মামলার অভিযোগ তুলে নিজের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন মো. রাসেল মিয়া নামে এক যুবক। পরে মোটরসাইকেল পোড়ানোর দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করে সেটি ভাইরাল করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তিনি।
মূলত, ‘ভাইরাল হিরো’ হতেই রাসেল এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে ‘জুনিয়র টাইগার শ্রফ’ পরিচয় দিতেন তিনি।
রোববার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য দেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোটরসাইকেল চালানো নিয়ে তার বিরুদ্ধে কখনো কোনো মামলা করা হয়নি।
তবে তার এক বন্ধু ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। রাসেল সেই মামলার স্লিপ দেখিয়ে নিজের পাঁচ লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেলে আগুন দেন। মূলত ভাইরাল হতেই এ কাণ্ড ঘটান তিনি। পাঁচ লাখ টাকার মোটরসাইকেলটি পুড়িয়ে সেই দৃশ্য ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ২০০ ডলার (প্রায় ২২ হাজার টাকা) আয় করেছেন তিনি।
ডিবি জানায়, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর এলাকার প্রবাসী মা–বাবার সন্তান রাসেল মিয়া। তিনি নিজেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জুনিয়র টাইগার শ্রফ’ পরিচয় দিতেন। এই নামে তিনি ফেসবুক ও ইউটিউবে অন্যের বানানো বিভিন্ন কনটেন্ট পোস্ট করতেন, যার বেশির ভাগই অর্থহীন, অশালীন ও দেশের আইনবিরোধী।
ছবিটি জুম করে দুষ্ট হরিণটিকে খুঁজে বের করুন, ৯০ শতাংশ মানুষই পারেন না
ডিবি আরও জানায়, রাসেল মিয়া ২০২০ সালে এইচএসসি পাস করার পর আর পড়াশোনা করেননি। মাঝে কিছুদিন ভারতে গিয়ে মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে ‘জুনিয়র টাইগার শ্রফ’ পরিচয় দিতেন। তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যান্টের ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়তেন। এতে তার সামান্য আয় হতো। ভাইরাল হয়ে আয় বাড়াতেই বাইকে আগুন দেওয়ার কাজটি করেন রাসেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।