আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কোটি-কোটি টাকা খরচ করে অডি বা বিএমডব্লিউ-র মতো স্বপ্নের গাড়ি কিনেছেন আপনি। তবে বাস্তবের মাটিতে সেই গাড়ি যখন চলতে শুরু করে, ব্যস্ত শহরের যানজটে চাকা ঠিক আটকেই যায়। কারণ এই দেশে ট্র্যাফিক বড় বালাই। তবে যদি আপনাকে বলা হয় যে, কোটি-কোটি টাকা নয়, মাত্র ৬৫.৫১ লক্ষ টাকায় আপনি গাড়ি কিনে একেবারে আকাশে উড়তে পারবেন!
কী পড়ে চমকে গেলেন তো! মনে হচ্ছে এমনটাও আবার হয় নাকি! এ কী হলিউডের কোনও সাই-ফাই ছবির গল্প না তো! একেবারেই নয়। এমনটাই বিলক্ষণ ঘটছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে আটকে থাকার দিন শেষ, এবার আপনার অপেক্ষায় গোটা আকাশ। সাধারণের গগনচুম্বী স্বপ্নকে সত্যি করেছে সুইডিশ ফার্ম জেটসন। তারা বাজারে নিয়ে এসেছে ‘ফ্লাইং কার’ ওরফে উড়ুক্কু গাড়ি। ইলেকট্রিক ভেহিকেলের সংজ্ঞাই বদলে দিয়েছে ‘জেটসন ওয়ান’।
প্রথমে এই গাড়ি দেখলে মনে হবে যেন একটা বড় সাইজের ড্রোন। আটটি ইলেকট্রিক মোটরের সাহায্যে সিঙ্গল সিটার ‘জেটসন ওয়ান’ উড়তে পারে ২০ মিনিট। তাও আবার ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০২ কিমি বেগে। হাল্কা ওজনের অ্যালুমিনিয়াম স্পেস ফ্রেম ও কার্বন-কেভলার দিয়ে তৈরি হয়েছে এই ফ্লাইং কার। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লিথিয়ামন-আয়ন ব্যাটারি চালিত যান পাইলটের ওজন ১০০ কেজি-র মধ্যে হলেই হবে।
জেটসনের প্রতিষ্ঠাতা এবং উদ্ভাবক টমাজ পাটান বলছেন, “আমাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যই হচ্ছে বিমানকে গণতান্ত্রিক করা। আমাদের স্থির বিশ্বাস যে, ইভিটিওএল (ইলেকট্রিক ভার্টিকাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং) হবে ভবিষ্যতের গণপরিবহণ।
আমরা একে বাস্তবায়িত করতে দায়বদ্ধ। জেটসনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার টার্নস্টর্ম বলছেন, “জেটসন হচ্ছে আকাশে উড়তে পারা এক ফর্মুলা ওয়ান কার। ওড়াতে খুব মজা হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এই বিমানের স্ট্যাবিলাইজেশন সিস্টেম এতটাই ভাল যে, এই বিমান ওড়ানো অত্যন্ত সহজ। আমরা যে কোনও কাউকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে পাইলট বানিয়ে দিতে পারব।”
জেটসন সংস্থা জানিয়েছে যে, ২০২২ সালে তৈরি হওয়া সব ‘জেটসন ওয়ান’ বিক্রি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। আগামী বছরের অর্ডার নিতে শুরু করেছে তারা। তাহলে কী ভাবছেন? এবার রাস্তায় চলার উপযুক্ত গাড়ি কিনবেন নাকি আকাশে ওড়ার? পছন্দ আপনার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।