লাইফস্টাইল ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় ঘুরে দেখার মতো অনেক সুন্দর জায়গা আছে এবং এর চমৎকার অবকাঠামো দেশটিকে আরও বেশি সুন্দর করে তুলেছে। মালয়েশিয়া এশিয়ার সবচেয়ে বেশি পরিদর্শন করা দেশগুলোর মধ্যে একটি, তবে সাধারণত চীন সবসময় লাইমলাইটে থাকে। ব্যায়বহুল দেশ ভ্রমণের মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম। কিন্তু সেখানকার সুন্দর, বৈচিত্রময় এবং রোমাঞ্চকর জায়গাগুলো মালয়েশিয়া ভ্রমণের চাহিদা আরও বাড়িয়ে তোলে।
১. কুয়ালালামপুর
মালয়েশিয়া ভ্রমণের সময় কুয়ালালামপুর অবশ্যই ঘুরে বেড়াবেন। এশিয়ার অন্যান্য বড় শহরের মতো এখানে ভ্রমণকারীরা এসে এ শহরে পৌঁছায় এবং শহরের বাইরে ভ্রমণে চলে যায়, কুয়ালালামপুর নিজেই ভ্রমণের জন্য একটি সুন্দর জায়গা।
মালয়, চীনা এবং ভারত এই তিন দেশে মিলে হলো মালয়েশিয়ার রাজধানী। এ শহরে আপনার রান্না সম্পর্কীয় কাজের অভাব হবে না। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য কুয়ালালামপুরের প্রধান আকর্ষণের একটি বড় অংশ। হেঁটে দেখলে বা ট্রেনে ভ্রমণ করে এখানকার সব বৈচিত্রময় সংস্কৃতি দেখতে পাবেন।
কুয়ালালামপুরে ঘোরার জন্য অনন্য জায়গার শেষ নেই। পেট্রোনাস টাওয়ার, পেরডানা বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং মেনারা কেএল টাওয়ার মতো আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান রয়েছে মালয়েশিয়ায়। আরও দূরে যাওয়ার আগে কুয়ালালামপুর ভ্রমণ করা উচিৎ।
২. পেনাং
মালয়েশিয়ানরা পশ্চিম উপকূলে একটি বড় দ্বীপ নিয়ে অনেক গর্বিত – এবং এই গর্ব তাদের মানায়! ঔপনিবেশিক শহর জর্জটাউনকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তৈরি করেছিল যেখানে একটি যাদুঘর, একটি সমুদ্রতীরবর্তী দুর্গ, ঐতিহাসিক বাড়ি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে বিখ্যাত স্ট্রিট ফুড রয়েছে।
জর্জটাউনের রাস্তায় ম্যুরাল আকারে অসংখ্য শিল্পী তাদের চিহ্ন রেখে গেছেন। সব ধরনের সুস্বাদু স্ট্রিট ফুডের স্বাদ নেওয়ার জন্য পেনাংকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম সেরা জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পেনাংয়ের গার্নি ড্রাইভ নামে পরিচিত ওয়াটারফ্রন্ট এসপ্ল্যানেডে স্থানীয় মালয়, চাইনিজ এবং ভারতীয় খাবারের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারের জন্য স্টল রয়েছে।
৩. পারহেন্টিয়ান দ্বীপপুঞ্জ
ব্যাকপ্যাকার এবং বাজেট সম্পন্ন ভ্রমণকারীদের জন্য মালয়েশিয়ার পারহেন্টিয়ান দ্বীপপুঞ্জ বিশেষ উপযোগী, বিশেষ করে পারহেন্টিয়ান কেসিল- দুটি দ্বীপের মধ্যে ছোট। এখানে দিনের বেলায় চমৎকার স্নরকেলিং/ডাইভিং ও করা হয়।
কাছাকাছি পারহেনশিয়ান বেসার একটি বড় দ্বীপ; পরিবার, দম্পতি এবং ভ্রমণকারীদের জন্য আরও বেশি আকর্ষণীয়, বিশেষ করে যারা নীল পানি উপভোগ করতে চায়। যে দ্বীপই বেছে নিন না কেন, পারহেন্টিয়ানে যাওয়ার জন্য একটি স্পিডবোট নিতে হবে।
পারহেনশিয়ান দ্বীপপুঞ্জে মৌসুমী জলবায়ুর প্রভাবে জুলাই মাসে সেখানে থাকা কঠিন হতে পারে, শীতের মাসগুলোতে বৃষ্টি এবং ঝড়ো আবহাওয়ার কারণে দ্বীপগুলো বেশিরভাগ সময়ই খালি থাকে।
৪. মালয়েশিয়ার বোর্নিও
মালয়েশিয়ার দর্শনার্থীরা বেশিরভাগ সময়েই পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের কথা ভুলে যায়। বোর্নিওর মালয়েশিয়ান অংশ দুটি রাজ্যে বিভক্ত, দক্ষিণে সারাওয়াক এবং উত্তরে সাবাহ। উভয়েরই আলাদা সৌন্দর্য্য এবং আকর্ষণ আছে। প্রতি গ্রীষ্মে কুচিংয়ের বাইরে অনুষ্ঠিত রেইনফরেস্ট ওয়ার্ল্ড মিউজিক ফেস্টিভ্যাল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে জমজমাট উত্তেজনাপূর্ণ সঙ্গীত এবং সংস্কৃতি ইভেন্টগুলোর মধ্যে একটি।
৫. মালাক্কা
মালয়েশিয়ার মালাক্কার পেরানাকান শহরটি সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং ঔপনিবেশিক স্থানগুলোর মধ্যে একটি। ২০০৮ সালে ইউনেস্কো মালাক্কাকে একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান ঘোষণা করেছে। মালাক্কার পুরানো শহরটি দেখে ভ্রমণকারীরা সব সময়ই মুগ্ধ হয়। এখানের স্বস্তিদায়ক পরিবেশ যথেষ্ট মনোরম। কুয়ালালামপুরের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে বাসে যাওয়া বেশি সহজ। এর পাশাপাশি ট্রেনেও সেখানে যেতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।