বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : বাজারে যত স্কুটার আছে তার মধ্যে জনপ্রিয় ১২৫ সিসির সেগমেন্ট। এই সেগমেন্টের সেরা পাঁচটি স্কুটার সম্পর্কে জানুন। যেগুলো পারফরমেন্সে সেরা। মাইলেজও দেয় অনেক।
এপ্রিলিয়া এসআর ১২৫
এপ্রিলিয়া এসআর ১২৫ বাজারে সবচেয়ে শক্তিশালী ১২৫ সিসির স্কুটার। এটি শুধুমাত্র একটি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যায়। বাজারে চারটি রঙের বিকল্পে পাওয়া যায় এই স্কুটার। স্কুটারটিতে রয়েছে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন। যা ৯.৯ বিএইচপি শক্তি এবং ১০.৩৩ নিউটন মিটার টর্ক জেনারেট করে।
এপ্রিলিয়ার এই স্কুটারের ২২০ এমএম ফ্রন্ট ডিস্ক ব্রেক এবং পেছনে ১৪০ এমএম ড্রাম ব্রেক রয়েছে। এটি তার সেগমেন্টের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্কুটার। এর এক্স-শোরুম মূল্য ভারতে সোয়া লাখ রুপি।
এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় স্কুটার টিভিএস এনটর্ক ১২৫। এই স্কুটারে রয়েছে ১২৫ সিসির ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন ১০.৬ নিউটন মিটার টর্ক এবং ৯.২৫ হর্সপাওয়ার উৎপাদন করতে পারে। মাত্র ৮.৯ সেকেন্ডে ০-৬০ কিলোমিটার গতি উঠতে পারে। এর সর্বোচ্চ গতি ৯৫ কিলোমিটার।
ইনকামিং কল এবং এসএমএস অ্যালার্ট, ন্যাভিগেশন অ্যাসিস্ট, ফোন সিগন্যাল এবং ব্যাটারি ডিসপ্লে, লাস্ট পার্কিং লোকেশনের মতো ফিচারগুলো এনটর্কের স্কুটারে রয়েছে।এটি রোড ও রেসের মতো একাধিক রাইড মোডসহ কিনতে পাওয়া যায়। এটি মোট ছয়টি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে স্কুটারটি।
সুজুকি অ্যাভেনিস
সুজুকি অ্যাভেনিস দুটি ট্রিমে পাওয়া যায়- স্ট্যান্ডার্ড এবং রেস সংস্করণ। এই ১২৫ সিসির স্কুটারে ৮.৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১০ এনএম টর্ক রয়েছে। এটি একই ইঞ্জিন যা অ্যাক্সেস ১২৫ এবং বার্গম্যান স্ট্রিটেও পাওয়া যায়। এটিতে সুজুকি স্কুটার কানেকটেড প্রযুক্তি রয়েছে, যার মধ্যে একটি আউটার ফুয়েল ক্যাপ এবং ড্যাশ বক্সের ভিতরে একটি ইউএসবি পোর্ট রয়েছে।
হোন্ডা ডিও ১২৫
হোন্ডা ডিও ১২৫ স্কুটারে রয়েছে ১২৪ সিসির ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন ৮.১ বিএইচপি শক্তি এবং ১০.৪ নিউটন মিটার টর্ক জেনারেট করে। এটি একটি স্মার্ট কিসহ বাজারে পাওয়া যায় যা চালককে দূর থেকে স্কুটারটি শনাক্ত করতে, আনলক করতে এবং চালু করার সুবিধা দেয়।
ডিও ১২৫ স্কুটারে ফ্রন্ট গ্লাভ বক্স, এক্সটার্নাল ফুয়েল ক্যাপ এবং ইন্টিগ্রেটেড পাস সুইচের মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
হিরো মায়েস্ট্রো এজ ১২৫
মায়েস্ট্রো এজ হিরোর একটি প্রিমিয়াম ১২৫ সিসির স্কুটার যা ১২৫ সিসির ইঞ্জিনে পাওয়া যায়। এই ইঞ্জিন ১০ নিউটন মিটার টর্ক জেনারেট করতে পারে। একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের পাশাপাশি, এটি একটি কানেকটেড টেলিমেটিক্স স্যুট, টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন, লাইভ ট্র্যাকিং, জিও-ফেনসিং, অবস্থান সতর্কতা এবং রাইডিং অ্যানালাইসিস রিপোর্টের মতো অনেক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।