লাইফস্টাইল ডেস্ক : পয়লা বৈশাখের পর থেকে চড়চড় করে বেড়ে চলেছে তাপমাত্রা। প্রচণ্ড দাবদাহে রাজ্য জুড়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখাই হল চ্যালেঞ্জের। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া নিয়েও সচেতন থাকতে হবে। এই গরমে যদি নিয়ম করে পান্তা ভাত খান, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। শরীরে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি কমায় পান্তা ভাত।
পান্তা ভাতা ফার্মেন্টেশনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। কখনও রাতে গরম ভাত বানিয়ে তাতে জল ঢেলে দেওয়া হয়। ওই ভাত পরদিন সকালে খাওয়া হয়। আবার অনেক সময় সকালের তৈরি গরম ভাতে জল ঢেলে দেওয়া হয়। সেটা রাতে খাওয়া হয়। এই ফার্মেন্টেশনের ফলে পান্তা ভাতের পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। এই গরমে পান্তা ভাত খেলে কী-কী উপকারিতা মিলবে, দেখে নিন এক নজরে।
১) ফার্মেন্টেশনের ফলে পান্তা ভাতে ভিটামিন বি১২-এর মাত্রা বেড়ে যায়। এই পুষ্টি শরীরের ক্লান্তি ভাব কমাতে এবং দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অনিদ্রার সমস্যা দূর করে।
২) এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে পান্তা ভাত শরীরকে ঠান্ডা করে। এই খাবারে যেহেতু তরলের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই শরীরকে হাইড্রেটেডও রাখে পান্তা ভাত।
৩) ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রনের মতো পুষ্টি রয়েছে পান্তা ভাতে। তাই দিনে একবেলা পান্তা ভাত খেয়ে থাকলেও দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না। এছাড়া এই খাবারে প্রোবায়োটিক রয়েছে, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।
৪) দেহের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে পান্তা ভাত। গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিডিটি, আলসারের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এই খাবার। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে পান্তা ভাত।
৫) উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মতো লাইফস্টাইল ডিজিজে ভুগলেও আপনি পান্তা ভাত খেতে পারেন। এই খাবার খেলে রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং, পান্তা ভাত দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।