লাইফস্টাইল ডেস্ক : নববিবাহিত সচেতন দম্পতিদের অনেকে বিয়ের পর থেকে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করেন। এতে করে অনেক সময় বেশি দেরীতে সন্তান নেওয়া হয়ে যায়। নারীদের বেশি বয়সে সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। অনেককেই সন্তানধারণের জন্য আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়।
আইভিএফ পদ্ধতিতে অনেক সময় মা একের অধিক সন্তান ধারণ করেন। তাই অনেকের ভিতর এমন ধারনার সৃষ্টি হয়, আইভিএফ পদ্ধতি মানেই যমজ সন্তান। কিন্তু এমন কিছু লক্ষণ থাকে যা থেকে বুঝা যায় দম্পতিরা যমজ সন্তানের বাবা-মা হবেন কিনা।
যেসব কারণ লক্ষ্য করবেন:
১) পরিবারে কোনও যমজ থাকলে, আপনারও যমজ হতে পারে। অনেক নারীর গর্ভাশয়ে দুই বা তার বেশি সংখ্যক ডিম্বাণু উৎপাদন হয়। একে বলে হাইপার ওভিউলেশন। এই প্রবণতা মেয়েদের মধ্যে মায়ের ডিএনএ থেকে আসতে পারে। এমন ক্ষেত্রে যমজ সন্তান জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে।
২) বেশি বয়সে সন্তানধারণ করলে যমজ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা বাড়ে। বিশেষ করে মায়ের বয়স যদি ৩৫ থেকে ৪০ বছর হয়। মেয়েরা যত রজোনিবৃত্তির দিকে এগিয়ে যান, ততই তাদের শরীরে কিছু হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করে। এতেই বাড়ে যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা।
৩) বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ওবেসিটির সমস্যা থাকলেও যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশেষত যাদের বডি মাস ইনডেস্ক (বিএমআই) ৩০-এর উপর, তাদের যমজ সন্তান হতে পারে।
৪) খুব বেশি লম্বা মেয়েদের যমজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মেয়েদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ২০০৬ সালের একটি সমীক্ষা বলছে, ১২৯ জন নারী, যাদের যমজ সন্তান হয়েছে, তাদের সকলেরই উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির কাছাকাছি ছিল। গবেষকদের মতে, উচ্চতার জন্য দায়ী কিছু হরমোন যমজ সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৫) ২০১৮ সালে আমেরিকার জন্মহারের সমীক্ষা অনুযায়ী, গায়ের রং চাপা হলে যমজ সন্তানধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।