লাইফস্টাইল ডেস্ক : সম্পর্কের পথ মসৃণ হয় না। ওঠা-পড়া থাকেই। প্রেমের সম্পর্কের প্রথমের দিনগুলো বেশ সুন্দর হয়, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবই পুরনো হতে থাকে। একসময় যে মানুষটির সঙ্গে কথা না বললে ঘুম আসত না, কখনও এমন পরিস্থিতিও তৈরি হয় যে, তাঁর সঙ্গে আর কথা বলতেই ইচ্ছে করে না। তাই তো অনেকেরই হাত ছেড়ে যায় মাঝপথে।
তবে ব্রেকআপ বা সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও একবার ভাবার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কয়েকটি কাজ করার কথা বলেন। ব্রেকআপের আগে কোন ৫ কাজ করা উচিত, তা জেনে নিন আপনিও। (প্রবন্ধে ব্যবহৃত সব ছবি প্রতীকী, সৌজন্য – istock)
তাঁর সঙ্গে আরও একবার কথা বলুন
যে কোনও সুসম্পর্কের ভিতই হল সঠিক কমিউনিকেশন। আপনারও সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। তাই আপনার সঙ্গীর সঙ্গে সঠিক কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ গড়ে তোলা প্রয়োজন। আপনার মনের কথা তাঁকে জানান।
আপনার খারাপ লাগা এবং অসন্তোষের কারণগুলো তাঁকে আরও একবার বুঝিয়ে বলুন। নিজের ইচ্ছেগুলো তাঁকে একবার জানাতে পারেন। শেষ বারের মতো একে অপরের খারাপলাগা এবং ভালোলাগার কারণগুলো শুনুন। প্রয়োজনে আপনি তাঁকে সরি বলুন। হয়তো আপনাদের পথ আলাদা নাও হতে পারে।
কাপল থেরাপি
একে অপরের সঙ্গে আর থাকতে পারছেন না, কিন্তু তাঁকে ছেড়ে আসতেও মনখারাপ লাগছে? এরকম পরিস্থিতিতে আপনাকে সাহায্য করতে পারেন কোনও বিশেষজ্ঞ।
সম্পর্কের সমস্যা মেটানোর জন্যে তিনি আপনাদের পথ দেখাবেন। সেই পথ হয়তো আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে আপনাদের সম্পর্ককে। তাইতাঁর সামনে নিজেদের সমস্যার কথা খুলে বলুন এবং আলোচনা করুন। কী ভাবে
সম্পর্কে সুপরিবেশ গড়ে তুলবেন, সে বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করবেন একজন বিশেষজ্ঞ।
একে অপরকে সময় দিন
সম্পর্কের একঘেয়েমি কাটানোর জন্যে ‘কোয়ালিটি টাইম’ প্রয়োজন। তাই একে অপরকে পর্যাপ্ত সময় না দিলেই কিন্তু সমস্যা বাড়তে শুরু করে। মানসিক টানও প্রায় চলে যায়। তাই সম্পর্ককে বাঁচাতে যখন যেমন সুযোগ পাবেন এক অপরের সঙ্গে সময় কাটান।
দুজনের পছন্দের কোনও স্থানে ঘুরতে যেতে পারেন। উইকেন্ডে ডেট প্ল্যান করলেও মন্দ হবে না। কয়েকটা ঘণ্টা একসঙ্গে থাকুন। মোবাইল ফোনগুলি দূরে রাখুন। নিজেদের না বলা কথাগুলো বলুন। দেখুন, সম্পর্কে পুরনো উষ্ণতা ফিরবেই।
নিজের প্রতি নজর দিন
সম্পর্কটি সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্যে নিজের প্রতিও নজর দেওয়া জরুরি। এমনকী ব্রেকআপের আগে কিংবা সম্পর্ক ভাঙার পড়েও কিন্তু হীনমন্যতায় ভুগবেন না। নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করা এবং ভালো রাখার দায়িত্ব আপনারই। তাই সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
সমঝোতা করুন
সম্পর্ক ভালো রাখার জন্যে কিন্তু যথেষ্ট পরিশ্রম এবং সমঝোতার প্রয়োজন। দুজনকেই এই কাজটি করতে হয়। সম্পর্কের পথ আরও সুমসৃণ করতে দুজনকেই চেষ্টা করতে হবে। তাই একে অপরের কথা মন দিয়ে শুনুন। সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে যদি সামান্য সমঝোতা আপনাকে করতে হয়, তবে তাই করুন।
উল্লেখ্য, কোনও কোনও সম্পর্ক খুবই টক্সিক বা বিষাক্ত হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গীর মানসিক বা শারীরিক অত্যাচারের শিকারও হতে হয় অপর জনকে। আপনার সম্পর্কও যদি টক্সিক হয়, তবে তা ভেঙে বেরিয়ে আসাই শ্রেয়। এমন সম্পর্কের বোঝা বয়ে বেড়াবেন না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।