জুমবাংলা ডেস্ক : বিয়ে তার কাছে অর্থ উপার্জনের বড় হাতিয়ার। তাইতো ২০ দিন যেতে না যেতেই স্বামীর দেয়া স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে পালিয়ে যান তিনি। পরে পাঠিয়ে দেন ডিভোর্স লেটার৷ বলছি, রংপুরের সানজিদা আক্তার স্মৃতির কথা। তাকে তার মাসহ গ্রেফতারের পর পুলিশ বলছে, বর হিসেবে তার পছন্দ পঞ্চাশ কিংবা ষাটোর্ধ্ব কোনো পুরুষ। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিয়ে করেছেন চারটি।
মোহাম্মদ আলী পেশায় ব্যবসায়ী। এটি তার ছদ্মনাম। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার চার বছর পর গত ২১ মার্চ তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কনে রংপুর জেলার বদরগঞ্জের সানজিদা আক্তার স্মৃতি। বিয়ের তিন মাসের মাথায় এক সন্ধ্যায় তার স্ত্রী ঘরে থাকা প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দেন।
ভুক্তভোগী জানান, তার বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু ভাইয়ের চাপে তিনি বিয়ে করতে রাজি হন। এরপরই এমন প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় ভুক্তভোগীর করা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সানজিদাকে রংপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে তার মাকে।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দীন কবীর জুয়েল বলছেন, সংসার করার উদ্দেশ্যে নয়, সানজিদার বিয়ে করার একমাত্র লক্ষ্য অর্থ উপার্জন। এর আগেও বিয়ে করেছেন তিনটি৷ তিন স্বামীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
সানজিদাকে গ্রেফতারের পর পুলিশ আরও জানতে পেরেছে স্বামীর কাছ থেকে চুরি করা ১০ লাখ টাকায় রংপুরে নতুন বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। আর তার মা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
বাড়ি বন্ধক রেখে লোন করা টাকা চুরি করে স্ত্রীর পালিয়ে যাওয়ায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে স্বামী মোহাম্মদ আলীর। তাই পুলিশের পরামর্শ, বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো করে খোঁজ খবর নিতে হবে। না হলে যে কেউ হতে পারে প্রতারণার শিকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।