আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়া প্রতি বছর লাখ লাখ ক্যাঙ্গারু হ’ত্যার অনুমতি দিয়ে থাকে তাদের শিকারিদের। এ বছর দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৫ মিলিয়ন (৫০ লাখ) ক্যাঙ্গারু হ’ত্যা করা হবে।
দেশটির সরকার ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানায়, সেখানে কিছু প্রজাতির ক্যাঙ্গারু এতই বৃদ্ধি পেয়েছে যে তাদের কৃষি জমি, অন্যান্য স্থানীয় প্রজাতি এবং প্রাণীদের খরার সময় অনাহার থেকে রক্ষা করার জন্য নিয়মিত এই নিধন করা দরকার।
এর আগে ২০২০ সালে প্রায় ১০ হাজার বন্য উটকে হ’ত্যা করে অস্ট্রেলিয়া। কেননা সে সময় দেশটির কিছু অঞ্চলে এতই খরা দেখা দিয়েছিল যে, পানি পানের প্রয়োজনে বন্য উটগুলো লোকালয়ে আসতে শুরু করে। ফলে ১০ হাজার উট হ’ত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশটি।
দেশটির জাতীয় প্রতীকে থাকা ক্যাঙ্গারুকে হ’ত্যার বিষয়ে সমাজকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই কার্যক্রম নিষ্ঠুর এবং বাণিজ্যিক স্বার্থ দ্বারা চালিত।
ক্যাঙ্গারু ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া জানায়, সরকারিভাবে পরিচালিত এই ক্যাঙ্গারু হ’ত্যাকাণ্ডের কর্মসূচির অধীনে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত শিকারিরা প্রতি কেজি ক্যাঙ্গারুর জন্য একটি ফি পেয়ে থাকে। এছাড়া ক্যাঙ্গারুর মাংস, চামড়া ও চামড়া থেকে প্রক্রিয়াজাত পণ্য বিশ্বের ৭০টি দেশে রপ্তানি করা হয়। এই ক্যাঙ্গারু হ’ত্যা ঘিরে প্রায় ১৩৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের শিল্প গড়ে উঠেছে।
তবে নাইকি ও পুমার মতো বিশ্বের বড় নামধারী ক্রীড়া পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো ধীরে ধীরে ক্যাঙ্গারু চামড়া বা কে-লেদারকে পর্যায়ক্রমে বাদ দিচ্ছে।
দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলের কারণে ক্যাঙ্গারু গণনা করা অনেক কঠিন, কিন্তু প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তারা হেলিকপ্টার এবং ফিক্সড-উইং এয়ারক্রাফ্ট ব্যবহার করে জরিপ পরিচালনা করে। আর এই জরিপের পর দেশটির কোন অঞ্চলে, কোন প্রজাতির ক্যাঙ্গারু কি পরিমাণে হ’ত্যা করা হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, নিউ সাউথ ওয়েলস, কুইন্সল্যান্ড, ভিক্টোরিয়া, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ৫ মিলিয়ন ক্যাঙ্গারু হ’ত্যার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।