জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে সয়াবিন তেলের সংকটের মধ্যেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা থেকে এলো ৫২ হাজার ১০০ মেট্রিকটন সয়াবিন তেল। অপরিশোধিত এসব তেল দ্রুত খালাস, পরিশোধন করে বাজারজাত করা গেলে শিগগির সয়াবিন তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বন্দরে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলবাহী চারটি জাহাজ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চারটি জাহাজে করে মোট ৫২ হাজার ১০০ টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এসেছে।
এর মধ্যে আরডমোর চেয়েন্নে থেকে সম্পূর্ণ তেল খালাস করা হয়েছে। বাকি তিনটি জাহাজের তেল কাস্টম নিয়ন্ত্রিত ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হচ্ছে। শুল্ক পরিশোধ করার পর অপরিশোধিত তেল কারখানায় পাঠানো হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে এ জাতীয় পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরে আসার পর থেকেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যাতে নির্বিঘ্নে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পণ্য খালাস করা যায়। এক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সয়াবিন তেলের জাহাজগুলোকে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ নভেম্বর আর্জেন্টিনা থেকে এমটি আরডমোর চেয়েন্নে নামে একটি ট্যাংকার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। জাহাজটি চট্টগ্রামে পৌঁছে ৬ ডিসেম্বর। মাল খালাস করে জাহাজটি ভারতের উদ্দেশে ৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে। এমটি সানি ভিক্টরি নামের আরেকটি জাহাজ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল নিয়ে ৭ নভেম্বর ব্রাজিলের বন্দর থেকে রওনা দেয়। ১০ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছে। দুই জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়েছে ২১ হাজার ৫০০ টন সয়াবিন তেল।
এমটি ডাম্বলডোর নামে আরেকটি জাহাজ গত ২ নভেম্বর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৭ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছে। এ ছাড়া একই দেশ থেকে জিঙ্গা থ্রেশার নামে একটি জাহাজ ৫ নভেম্বর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ১০ ডিসেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম পৌঁছে। এই দুই জাহাজে রয়েছে ৩০ হাজার ৬০০ টন সয়াবিন তেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।