জুমবাংলা ডেস্ক : মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে সংযোগ সড়কবিহীন ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় ৪০ ফিট উঁচু উড়াল সেতু দাঁড়িয়ে আছে। এই সেতুটি নির্মাণে সরকারের বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় হলেও কোনো কাজেই আসছে না।
উপজেলার ঠিক দুইশত গজ দূরেই এই আজব সেতুটি অবস্থিত। এর নেই সংযোগ সড়ক, দেখে মনে হবে যেন রাস্তার উপর কোনো এক স্থাপনা দাঁড়িয়ে।
জানা গেছে, সেতুর পাশেই ধলেশ্বরী নদী। প্রায় এক যুগ আগে প্রায় এক যুগ আগে সড়ক ও জনপথ বিভাগ ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করে। ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত বেইলি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কটি সোজা এবং একটি আন্ডার পাস নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তবে সেতুর আশপাশের জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় থেমে যায় প্রকল্পটি।
তারপর থেকেই অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই আজব সেতু। সেতুটির পাশ দিয়ে রাস্তা চলে গেলেও সেতুটি ব্যবহার হয়নি কোনোদিন। সেতুটির উচ্চতা বেশি হওয়াতে আশপাশের কোনো যানবাহন দেখা যায় না। আর এতে করে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।
ইউসুফ নামের এক সিএনজি চালক বলেন ,আমরা তো ছোট তিন চাকার গাড়ি চালাই। এই গাড়িগুলো অনেক নিচু হওয়াতে সামনে ও পাশের কোনো গাড়ি দেখতে পাই না সেতুটির কারণে। এই গাড়িগুলো দেখতে না পাওয়ার কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আনোয়ারুল হক বলেন, ঘিওরে এই আজব সেতুটি কোনো সময়ই কাজে আসেনি। অযথা সরকারের মোটা অঙ্কের অর্থের অপচয় হয়েছে। এটি যেহেতু কোন কাজেই আসছে না তাহলে এটিকে দ্রুত অপসারণ করাটা জরুরি হয়ে পড়েছে।
মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গাউন-উল হাসান মারুফ বলেন, ঘিওরের এই প্রকল্পটি যখন হাতে নেওয়া হয় তখন জনগণের কল্যাণের কথা বিবেচনা করেই নেওয়া হয়েছিল। ওই প্রকল্পটি যখন হাতে নেওয়া হয় আঁকাবাঁকা সড়ক সোজা করণের জন্য। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু পাশের বেইলি ব্রিজটি পরিত্যক্ত রয়েছে সেই জন্য এই আন্ডার পাসটিও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে। অতি দ্রুত অপসারণের বিষয়টি নিয়েও ভাবছি আমরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।