লাইফস্টাইল ডেস্ক : কিশমিশ মূলত শুকনো আঙুর। শুকনো ফলগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় কিশমিশ প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিশমিশ সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে এরপর খেতে। এতে বেশ কিছু উপকারিতা মেলে। জেনে নিন উপকারিতাগুলো কী কী।
কিশমিশে প্রাকৃতিকভাবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি থাকে এবং এগুলো ভিজিয়ে রাখলে যৌগগুলো আরও বেশি উৎকৃষ্ট হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলগুলোকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যে অবদান রাখতে পারে।
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, যা স্বাভাবিকভাবেই শরীরে লবণের পরিমাণে ভারসাম্য রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া কিশমিশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ডায়েটারি ফাইবার রক্তচাপের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ভেজানো কিশমিশ প্রাকৃতিক খাদ্যতালিকাগত ফাইবারের একটি বড় উৎস, যা একটি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
কিশমিশ প্রাকৃতিকভাবে আয়রন সমৃদ্ধ, তবে এতে এমন যৌগও রয়েছে যা আয়রন শোষণকে বাধা দিতে পারে। কিশমিশ ভিজিয়ে রাখলে এই যৌগগুলোর মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে, সম্ভাব্যভাবে আয়রন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির শোষণকে উন্নত করতে পারে।
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে এবং এতে উচ্চ ক্যালসিয়াম রয়েছে। প্রতিদিন ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে হাড় মজবুত ও সুস্থ থাকে।
কিশমিশে প্রাকৃতিক গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ থাকে। তাই কিশমিশ পরিমিত পরিমাণে খেলে অলসতা এবং ওজন বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়।
তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।