বিনোদন ডেস্ক : প্রেমের জোয়ারে ভেসে আগেভাগেই সংসারে মন দিয়েছেন একাধিক বলিউড অভিনেত্রী। সন্তানের জন্ম দিয়ে পরিবার সামলে কেউ অভিনয়ে ফিরেছেন, কেউ ফেরেননি।
বাড়ির বড়রা আকছার বলেন, মা হওয়া কি মুখের কথা? সন্তানকে বড় করা, ঘরে-বাইরের জীবন সামাল দেওয়া— সবটা একা হাতে করা যে সত্যিই সহজ নয়। আর মা পেশায় যদি হন অভিনেত্রী, লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের ব্যস্ততা সামলে তাঁর লড়াইটা আরও কঠিন। ফিরে দেখা যাক সত্তর-নব্বই দশকের ছয় বলিউড নায়িকাকে, অল্প বয়সের সন্তানকে বড় করে কাজে ফিরে এসেছিলেন যাঁরা।
১. ডিম্পল কপাডিয়া
তারকাদের প্রেমে হাবুডুবু খান অনেকেই। সেই ভালবাসাকে পূর্ণতা দিতে পারেন কত জন! ডিম্পল কপাডিয়া কিন্তু সেই তালিকাতেই পড়েন। নিজে তখন ১৫-র কিশোরী। ‘ববি’-র চনমনে নায়িকা রাতারাতি বিখ্যাত। সেই মেয়েই সুপারস্টার রাজেশ খান্নার প্রেমে ভেসে মাত্র ১৬ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে। তার পরে ১৭ বছরেই সন্তানের জন্ম। কোল আলো করে আসেন মেয়ে টুইঙ্কল খান্না।
২. নীতু সিংহ
তখনও কপূর হননি নীতু সিংহ। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ঋষির সঙ্গে তাঁর প্রেমের কাহিনি শুরু। সাত বছরের দীর্ঘ সম্পর্ক পেরিয়ে নীতু যখন একুশের তরুণী, ঋষির সঙ্গে বিয়ে হল সে বছরই। ২২ বছর হতে না হতেই সন্তানের আগমনী। প্রথম সন্তান ঋদ্ধিমা কপূরের জন্ম হয় বিয়ের পরের বছর। আর রণবীরের জন্ম ঠিক তার দু’বছর পর। নীতু তখন ২৪।
৩. ভাগ্যশ্রী
লোকে বলে, তাঁর ভাগ্য বরাবরই তুঙ্গে। সুপারহিট ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’-তে সলমন খানের বিপরীতে অভিষেক ঘটেছিল ভাগ্যশ্রীর। সফল জুটি, প্রথম ছবিতেই তুমুল জনপ্রিয়। ভক্তদের আশা ছিল, একসঙ্গে আরও অনেক ছবি করবেন সলমন-ভাগ্যশ্রী। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে অভিনয় জগৎ থেকেই বিদায় নেন নায়িকা। মাত্র ২১ বছর বয়সে হিমালয় দসানিকে বিয়ে করে ঘোরতর সংসারী হয়ে পড়েন। ছেলে অভিমন্যুর জন্ম পরের বছর।
৪. সারিকা
১৯৮৮ সাল। ২৮ বছর বয়সে দক্ষিণী তারকা কমল হাসনকে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী সারিকা। তবে দম্পতির প্রথম সন্তান শ্রুতি হাসনের জন্ম তার দু’বছর আগেই। ২৬ বছর বয়সেই কমলের সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন সারিকা।
৫. ববিতা
পঞ্জাবি এবং ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত ববিতা। অভিনেতা রণধীর কপূরের সঙ্গে বিয়ের পর পরই বলিউড থেকে বিদায় নেন সুন্দরী নায়িকা। ১৯৭১ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তারকা যুগল। তার ৩ বছর পরে ছাব্বিশের ববিতা মা হন। জন্ম হয় বড় মেয়ে করিশ্মা কপূরের।
৬. শর্মিলা ঠাকুর
মনসুর আলি খান পতৌদি আর শর্মিলা ঠাকুরের গল্পও বেশ রোমাঞ্চকর। এই বাংলার ঠাকুর পরিবারের মেয়ে থেকে নবাব বংশের বৌমা। শর্মিলা ধর্মান্তরিত হওয়ার পরে ১৯৬৯ সালে নিকাহ হয়েছিল দুজনের। তাঁর ২৫ বছর বয়সে জন্ম প্রথম সন্তান সইফ আলি খানের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।