লাইফস্টাইল ডেস্ক : পণ্ডিত চাণক্য ছাত্রদের মনোজগৎ খুব ভালো ভাবে বুঝতেন। তার মতে, জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় হলো ছাত্রজীবন। মানুষের ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়ে উঠে এ সময়ে। তাই এই সময়টা সাবধানে কাটালেই ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে। যদি ছাত্রজীবন ভালভাবে না কাটে তাহলে বাকি জীবনও সঙ্কটে ভরে থাকবে।
চাণক্যের নীতিতে, শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু বিশেষ উপায়ের কথা বলা হয়েছে। এ নীতিগুলো মেনে চললে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি পরীক্ষায় ভাল ফল করতে পারবে।
চলুন জেনে নেয়া যাক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য চাণক্য নির্দেশিত নীতিগুলো:
লক্ষ্যে ফোকাস করুন:
যে কোনো পরীক্ষায় সফল হতে হলে সর্বদা সেই লক্ষ্যে ফোকাস ঠিক রাখা উচিত। লক্ষ্য থেকে কখনোই বিচ্যুত হওয়া যাবে না। শিক্ষার্থীদেরকেও নিজেদের লক্ষ্যে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে হবে। চাণক্যের মতে, শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য একটাই হওয়া উচিত। সেটি হলো সুশিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করা।
পরীক্ষার সময় মোবাইল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য বিষয় উপেক্ষা করে একাগ্রচিত্তে পড়াশোনা করা উচিত। তাতেই পরীক্ষায় সফলতা আসবে।
রুটিন তৈরি করুন:
পরীক্ষার আগে অবশ্যই পড়াশোনার জন্য রুটিন তৈরি করতে হবে। একটানা পড়াশোনা না করে, মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য বিরতি দিন। না হলে একটানা পড়ার কারনে ক্লান্তি চলে আসতে যাতে করে একটানা পড়ার কারণে ক্লান্তি চলে না আসে। একটি বিষয় পড়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।
শৃঙ্খলা:
শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সুশৃঙ্খল হতে হবে। প্রতিটি কাজ সময়মতো করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি অনুসরণ করা উচিত। তাহলে পড়াশোনায় শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। পড়া মুখস্থও হবে তাড়াতাড়ি।
শরীরের যত্ন নিন:
সুস্থ শরীর ও সুস্থ মন দুটোই পড়াশুনার জন্য একান্ত প্রয়োজন। আর শরীরকে সুস্থ রাখতে পুষ্টিকর খাবার ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের বেশি করে নিজেদের শরীরের যত্ন নিতে হবে। মনে রাখতে হবে একবার অসুস্থ হয়ে পড়লে অনেকগুলো দিন নষ্ট হয়ে যাবে। যা পরীক্ষার সময় অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তাই বিশেষ করে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সুষম খাবার গ্রহণ করা উচিত। সময়মতো খাওয়া, ঘুম খুব জরুরি। এতে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে আর পড়াশুনায়ও মনোযোগ বাড়বে।
অলসতা কাটাতে হবে:
চাণক্যের মতে, পড়াশোনায় কঠোর পরিশ্রমের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের সফলতা নিহিত রয়েছে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে সবচেয়ে বড় শত্রু হলো অলসতা। আলস্য ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই, শিক্ষার্থীদের অলসতা ত্যাগ করে প্রতিটি কাজ সঠিক সময়ে শেষ করতে হবে। পরীক্ষার আগের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত মূল্যবান। তাই সময় নষ্ট না করে তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।
মানসিক চাপ ক্ষতিকর:
অনেক সময় ব্যর্থতার ভয়ে বাচ্চারা মানসিক চাপে ভোগে। ফলে তারা পড়াশোনায় ঠিকমতো মনোযোগ দিতে পারে না।
অভিভাবকদের উচিত বাচ্চাদের মনোবল বৃদ্ধি করা, তাদেরকে ভালোভাবে বোঝানো এবং তাদের পাশে থাকা। যাতে বাচ্চারা একেবারে মন খুলে পড়াশোনা করতে পারে এবং মনে কোনও দ্বিধাও না থাকে।
সূত্র: বোল্ড স্কাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।