লাইফস্টাইল ডেস্ক : সাধারণত পানিকে পরিশোধিত করতে ফিটকিরি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এই ছোট্ট জিনিসটা আরও বিভিন্ন কাজে লাগে। ত্বকের সমস্যা থেকে শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে ফিটকিরি খুবই কাজের জিনিস। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ফিটকিরির এমন বেশ কিছু ব্যবহার যা হয়তো আপনার অজানা!
১. মুখে ব্রণ হলে ফিটকিরি ব্যবহার করতে পারেন। এক চামচ মুলতানি মাটি, দু‘চামচ ডিমের সাদা অংশ ও এক চামচ ফিটকিরি গুঁড়া দিয়ে প্যাক বানান। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই মিশ্রণ মুখে মাখুন। দ্রুত উপকার মিলবে।
২. ফিটকিরি ডিওড্র্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ফিটকিরির গুঁড়ার সঙ্গে গন্ধরস মেশান। গন্ধরস বা মস্তকি এক ধরনের গাছের আঠা বিশেষ। এই দুইয়ের মিশ্রণে তৈরি করে নিন নিজের ডিওড্র্যান্ট।
৩. দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়ার কারণে অনেক সময় মুখে গন্ধে হয়। ফিটকিরি এই ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সক্ষম। এক গ্লাস পানি ফোটান। তার মধ্যে এক চিমটে লবণ আর ফিটকিরির গুঁড়া মেশান। মিশ্রণ ঠাণ্ডা হলে, তা দিয়ে কুলকুচি করুন। নিয়মিত ঘুম থেকে উঠে আর ঘুমোতে যাওয়ার আগে এভাবে কুলকুচি করতে পারলে মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে।
৪. মুখের ভিতরে কোনও ঘা হলে, সেখানে ফিটকিরি লাগান। জ্বালা করতে পারে, কিন্তু মুখের ঘা তাড়াতাড়ি শুকোবে। তবে এই সময় মুখের লালা গিলে ফেলবেন না।
৫. মুখে, চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যাচ্ছে? চিন্তা নেই। এক টুকরা ফিটকিরি পানিতে ভিজিয়ে তা মুখে ভাল করে ঘষুন। তার পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
৬. শিশুদের মাথায় প্রায়ই উকুন ও উকুনের ডিম হয়। পানিতে ফিটকিরি গুঁড়া মিশিয়ে তার মধ্যে একটু চা গাছের তেল (টি ট্রি অয়েল) মেশান। এবার ১০ মিনিট ধরে মাথার ত্বকে (স্ক্যাল্পে) মাসাজ করুন। এর পরে শ্যাম্পু করে নিন। দ্রুত ফল মিলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।