জুমবাংলা ডেস্ক : আদিকাল থেকে সুনামগঞ্জের মাছের সুনাম দেশজুড়ে। বিশাল জলরাশির এই অঞ্চলে প্রায় ২০০ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। হাওর বিস্তৃত জেলা সুনামগঞ্জ। হাওরের মৎস্য সম্পদের জন্য বেশ বিখ্যাত এই অঞ্চল।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বড়দৈই বিল। এখানে জেলেরা মৎস্য আহরণ ও মজুতে ব্যস্ত সময় পার করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে তাদের এই ব্যস্ততা। দুই ভাগ হয়ে বড়দৈই বিলে কাজ করেন জেলেরা।
একদল জাল বিছিয়ে মাছ ধরেন, আরেকদল সেই মাছ নৌকায় নিয়ে যান মজুত করতে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, এই জেলা থেকে বেশিরভাগ মাছ ইউরোপে যায়। বিভিন্ন উপায়ে এই মাছ পাঠানো হয়।রুই, বোয়াল, কাতল, গ্রাসকার্প, চিতল, কালবাউশ, শোল, গজার, পাবদা, টেংরা, কই, শিং ও মাগুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ ধরা পড়ে জালে। শুধু বড়দৈই বিলে তিন বছরে প্রায় ৫০০ টন মাছ উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা।
জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১ হাজার বিল রয়েছে। ইজারায় এসব জলাশয়ের মাছ আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতে কাজ করে স্থানীয় প্রশাসন। এই অঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৯০ হাজার টন দেশীয় মাছ উৎপাদন হয়। এ সব মাছের বাজার মূল্য প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। সুনামগঞ্জের মাছ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হচ্ছে ইংল্যান্ড, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে।
ইজারাদাররা বলেন, মাছের মৃ;ত্যুহার কমাতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা হলে মাছের উৎপাদন হার বাড়ানো সম্ভব হবে। তাহলে ভবিষ্যতে হাওরে আর মাছ ছাড়ার প্রয়োজন হবে না। সুনামগঞ্জের বিল ও হাওরের পানি দূষণমুক্ত হওয়ায় মিঠা পানির মাছের জন্য এই অঞ্চল বেশ জনপ্রিয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।