আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচিত অনুষ্ঠিত হয়। অথচ এখনও চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়নি। এ পর্যন্ত পার্লামেন্টের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে পারেনি কোনো দল।
দেশটির শাসনভার কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ কাটছে না। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে ডন নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বোচ্চ ৯২টি আসন নিশ্চিত করেছে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল-এন পেয়েছে ৭৭টি আসন। বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি দখলে নিয়েছে ৫৪টি আসন। বাকি ৯ আসনে ফল ঘোষণা। জয়ের দাবি করছে পিটিআই ও পিএমএল-এন দুই দলই।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল জোট বেধে সরকার গড়বে। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, ইমরানের দল সমর্থিত প্রার্থীরাও সরকার গঠনের পরিকল্পনা করছেন। নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেরির প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করবে পিটিআই ও অন্যান্য দলের কর্মী সমর্থকরা।
পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান গহর আলি খান জানিয়েছেন, ইমরান খান যেহেতু জেলে রয়েছেন, তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে না পারলেও, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন, তা তিনিই সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচনের ফল এখনও সম্পূর্ণ প্রকাশ না হওয়ায় আজ রোববার রিটার্নিং অফিসারদের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাবে পিটিআই কর্মী-সমর্থকরা।
মোট ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ১৩৩টি আসন। এখনও পর্যন্ত সেই সংখ্যা ছুঁতে পারেনি ইমরান খানের দলের কর্মীরা, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। অন্যদিকে, যদি নওয়াজ শরিফ ও বিলাওয়াল ভুট্টো একজোট হোন, তাহলে সরকার গড়তে পারেন তারা। তবে সেক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজন পড়বে আরও কয়েকজন স্বতন্ত্র বা অন্য কোনও ছোট দলের সমর্থন।
নওয়াজ শরীফ ও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল সরকার গঠন করলেও শঙ্কার চিহ্ন থেকে যাচ্ছে। কেননা, দেশটির ‘অনিশ্চিত’ রাজনীতিতে সংসদে জোট সরকার ও বিরোধী দলের ব্যবধান থাকছে কম। তাই জোট সরকারে থাকা কোনো দল বা তাদের কিছু সংখ্যক সংসদ সদস্য বিরোধীদের সাথে আঁতাত করলে দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রী ফের অভিশংসনের মুখে পড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।