বিনোদন ডেস্ক : ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। সম্প্রতি ৫৭ বছর বয়সে অসমের মেয়ে রূপালি বড়ুয়াকে বিয়ে করেন এই অভিনেতা। এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। জীবনের এ পর্যায়ে এসে বিয়ে করায় আলোচনা সমালোচনার মুখে পড়েন অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী। নেটিজেনদের বড় একটি অংশ তাকে নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করেন। এসব বিতর্ককে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এবার সিঙ্গাপুরে হানিমুনে গেলেন নবদম্পতি আশিস-রূপালি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার আশিস তার ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, একটি বাসে বসে আছেন আশিস-রূপালি। তাদের চোখে-মুখে উচ্ছ্বাসের ঢেউ। আশিসের পরনে হলুদ রঙের শার্ট। তার পাশের সিটে হাতা কাটা গোলাপি প্রিন্টেট পোশাকে বসে রয়েছেন রূপালি।
এ ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন ‘ধন্যবাদ বন্ধু, তোমার ভালোবাসা ও শুভেচ্ছার জন্য। অলশুকরান বন্ধু, অলশুকরান জিন্দেগী। এই সুন্দর ছবির জন্য টিনটিন তোমাকে ধন্যবাদ।’
সিঙ্গাপুরে তারা দেখা করছেন পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গেও। এবার নেটপাড়ায় ছুটির মুডে ধরা দিলেন অভিনেতা ও তার স্ত্রী রূপালি।
গত ২৫ মে, বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আশিসের হঠাৎ বিয়ের খবরে শোরগোল পড়ে যায় নেটপাড়া। কলকাতায় আইনি মতে বিয়ে করেন তিনি। এর মাঝেই প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ও পুনর্বিবাহ নিয়ে তার জীবনের গল্প বলেন অভিনেতা।
আশিস বলেন, ‘জীবন এমন একটা বস্তু, যেটা খুশিতেই কাটানো উচিত, অন্য কারোর জন্য নয়, নিজের জন্য। নিজের দায়িত্ব পূরণ করে কী আমরা খুশিতে থাকতে পারি? আমি নিজেকে যতটুকু জানি যে আমি একা থাকতে পারি না, আমার কারোর সঙ্গ পছন্দ। তখন আমার বয়স ছিল ৫৫ কিংবা ৫৬ কিন্তু আমি আশা ছাড়িনি। আমি খুঁজব তাকে যাকে আমি অন্তরের কথা বলতে পারি। আমি যখন ইউনিভার্সকে বলি যে আমি কাউকে চাই, তখন গত বছর আমার কারোর সঙ্গে দেখা হয়। ওর সঙ্গে যখন কথাবার্তা শুরু করি তখন আমার মনে হয় যে আমি ওর সঙ্গে থাকতে চাই। ওর নাম রূপালি বড়ুয়া।’
অভিনেতা আরও বলেন, ‘গত এক বছর দূর থেকেও আমরা কথা বলেছি, দেখা করেছি, তখন আমার মনে হয় আমি ওর সঙ্গে জীবন কাটাতে চাই। আমি কখনও শুধু সম্পর্কে থাকতে চাইনি, আমি বিয়েই করতে চেয়েছিলাম। তখন ওকে জিজ্ঞাস করি বিয়ে করবে কি না। সে রাজি হয়ে যায়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।