জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগের কুখ্যাত ক্যাডার পুলিশ কর্মকর্তা মনির, হারুন, বিপ্লব, প্রলয়দের নির্যাতনের ক্ষত শুকায় নি। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে এসব পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেকেই এখনও পলাতক।
পুলিশের গুলিতে নিহত সাঈদ, ফারহান, মুগ্ধদের পরিবারের কান্নাও থামেনি। শত শত শিক্ষার্থী পঙ্গু হয়ে হাসপাতালের বিছানায় এখনও কাতরাচ্ছে। এর মধ্যেই আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬২ জন ছাত্রলীগের ক্যাডার এএসপি হিসাবে রোববার প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করতে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের ক্যাডারদের পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগের খবরে নতুন করে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনলাইন মিডিয়াতে চলছে সমালোচনার ঝড়!
জানা গেছে, ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের এসব কর্মকর্তা ২০২২ সালের ৪ ডিসেম্বর সারদা পুলিশ একাডেমিতে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, হাসিনা সরকার তিনটি ক্যাটাগরিতে ৪০তম বিসিএস থেকে প্রার্থী নির্বাচন করে। এগুলো হলো ছাত্রলীগ, গোপালগঞ্জের বাসিন্দা এবং দলীয় ক্যাডার। সে সময় লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও অনেকেই বাদ পড়েন শুধুমাত্র এসবি এবং এনএসআই-এর রিপোর্টের কারণে। আওয়ামী লীগ না করলে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয় নি। একই সাথে ফলাফল যত ভালোই হোক পরিবারের কেউ বিএনপি অথবা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ২০ অক্টোবর রোববার রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিকে ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুজকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১০ টায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব:) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী নিজে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষনার্থীদের অভিবাদন গ্রহণ করবেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ইউটিউব, ফেসবুকসহ অনলাইন মিডিয়াতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। হাসিনার ছাত্রলীগের ক্যাডারদেরকে কিভাবে বর্তমান সরকার সমাপণী পর্ব শেষে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের সনদ দিচ্ছে তা নিয়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, সরকারের উচিত ছিল এই ৬২ জনের খোঁজ খবর নিয়ে তারপর প্রশিক্ষণ সমাপণী অনুষ্ঠানে যোগদানের অনুমতি দেয়া। তা না হলে এরা পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করে জনগণের পক্ষে নয়, হাসিনার পক্ষেই কাজ করবে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ আমলে তিনটি ব্যাচের বিসিএস এর নিয়োগ বাতিলের দাবি উঠেছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে বর্তমান সরকারের উচিত আওয়ামী লীগ আমলের তিনটি বিসিএস-এর নিয়োগ বাতিল করা। কারণ প্রশ্নফাঁসসহ হাসিনার আমলের এসব বিসিএস নিয়ে একাধিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। যেগুলো হাসিনা সরকার ধামাচামা দিয়েছে।
জানা গেছে, স্বৈরাচারি হাসিনার আমলে বিসিএস-এ নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধাকে বিবেচনায় না নিয়ে দলীয় ক্যাডারদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের এই ৬২ জনকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে কেন? নেটিজেনদের দাবি, সমাপণী কুচকাওয়াজের আগেই এই ৬২জনের পরীক্ষার ফলাফল থেকে শুরু করে এসবি, এনএসআই রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তবেই এদেরকে নিয়োগ দেয়া হোক। এর মধ্যে নিরীহ কেউ আছে কি না তাও তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন অনেকেই। তা না হলে এরা জনগণের পক্ষে কাজ না করে ‘দোসর’ হিসেবে স্বৈরাচার হাসিনার পক্ষেই কাজ করবে।
সূত্র : ইনকিলাব
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।