জুমবাংলা ডেস্ক : কপাল পুড়ছে রাতের ভোট আয়োজন করা জেলা পুলিশ সুপারদের (এসপি)। জেলা প্রশাসকদের মতো শিগগিরই তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। হয় ওএসডি, নয় বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রক্রিয়ার আয়োজন করতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। অন্তর্র্বর্তী সরকারের এলজিআরডি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস বিষয়টিকে আরও শাণিত করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ সদর দপ্তরের একজন ডিআইজি এ প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে সরকারের শীর্ষ মহল। যাদের চাকরির বয়স ২৫-এর বেশি তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো এবং যাদের কম তাদের ওএসডির মতো করে সংযুক্ত করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে রাতের ভোট আয়োজনের অন্যতম সহযোগীদের বেশির ভাগই এখন উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদে কর্মরত আছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতনের পর তাদের কেউ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। তবে অনেক প্রভাবশালী পুলিশ কর্মকর্তা এখনো পলাতক। কেউ কেউ রয়েছেন বিভিন্ন ইউনিটে সংযুক্ত।
সূত্র বলছে, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে জেলা প্রশাসকদের ৪৫ জনকে ওএসডি করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক অবসরে দেওয়া হয়েছে ২২ কর্মকর্তাকে। ২২ ডিসির অনেকেই সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্ম সচিব পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ডিসিদের বাধ্যতামূলক অবসর, ওএসডি করার পর আলোচনায় এসেছে রাতের ভোটের দায়িত্ব পালন করা পুলিশ সুপারদের।
যারা এসপি ছিলেন : ঢাকা জেলায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন বর্তমানে রেলওয়ে পুলিশের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান। কুমিল্লা জেলায় ছিলেন বর্তমানে ডিআইজি পলাতক সৈয়দ নূরুল ইসলাম। চাঁদপুরে ছিলেন মো. জিহাদুল কবীর। নারায়ণগঞ্জ জেলায় ছিলেন বহুল আলোচিত পলাতক ডিআইজি হারুন অর রশিদ। নরসিংদীতে ছিলেন বর্তমানে পিবিআইতে কর্মরত ডিআইজি মিরাজ উদ্দিন আহমেদ। চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করা ডিআইজি মোহাম্মদ নুরে আলম মিনা আত্মগোপনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি আনোয়ার হোসেন খান। বরগুনা জেলায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন বর্তমানে ডিআইজি মারুফ হোসেন। বাগেরহাটে ছিলেন পঙ্কজ চন্দ্র রায়, চুয়াডাঙ্গায় মো. মাহবুবুর রহমান, বগুড়ায় আলী আশরাফ ভূঁইয়া, কক্সবাজারে এ বি এম মাসুদ হোসেন, বরিশালে মো. সাইফুল ইসলাম, দিনাজপুরে সৈয়দ আবু সায়েম, ফরিদপুরে মো. জাকির হোসেন খান, ফেনীতে এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, গাইবান্ধায় আবদুল মান্নান মিয়া, গাজীপুরে সামসুন্নাহার, গোপালগঞ্জে সাঈদুর রহমান খান, হবিগঞ্জের মোহাম্মদ উল্ল্যাহ, জয়পুরহাটে মো. রশীদুল হাসান, জামালপুরে দেলোয়ার হোসেন, যশোরে মো. মঈনুল হক, ঝালকাঠিতে মো. জুবায়েদুর রহমান, ঝিনাইদহে মো. হাসানুজ্জামান, খাগড়াছড়িতে মো. আহমার উজ্জামান, খুলনায় এস এম শফিউল্লাহ, কিশোরগঞ্জে মাশরুকুর রহমান খালেদ, কুড়িগ্রামে মো. মেহেদুল করিম, কুষ্টিয়ায় এস এম তানভীর আরাফাত, লক্ষ্মীপুরে আসম মাহাতাব উদ্দিন, লালমনিরহাটে এস এম রশিদুল হক, মাদারীপুরে মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, মাগুরায় খান মোহাম্মদ রেজওয়ান, মানিকগঞ্জে রিফাত রহমান শামিম, মেহেরপুরে মোস্তাফিজুর রহমান, মৌলভীবাজারে মো. শাহ জালাল, মুন্সিগঞ্জে মোহাম্মদ জায়েদুল আলম ফুয়াদ, ময়মনসিংহে মো. শাহ আবিদ হোসেন, নওগাঁয় মো. ইকবাল হোসেন, ভোলায় মো. মোকতার হোসেন, বান্দরবানে জাকির হোসেন মজুমদার, নাটোরে বিপ্লব বিজয় তালুকদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ টি এম মোজাহিদুল ইসলাম, নেত্রকোনায় জয়দেব চৌধুরী, নীলফামারীতে মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন, নোয়াখালীতে মো. ইলিয়াছ শরীফ, নড়াইলে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পাবনায় মো. শেখ রফিকুল ইসলাম, পঞ্চগড়ে মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, পটুয়াখালীতে মো. মইনুল হাসান, পিরোজপুরে মোহাম্মদ সালাম কবির, রাজবাড়ীতে আসমা সিদ্দিকা মিলি, রাজশাহীতে মো. শহিদুল্লাহ, রংপুরে মিজানুর রহমান, রাঙামাটিতে মোহাম্মদ আলমগীর কবীর, সাতক্ষীরায় মো. সাজ্জাদুর রহমান, শরীয়তপুরে আবদুল মোমেন, শেরপুরে কাজী আশরাফুল আজীম, সিলেটে মো. মনিরুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।