আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৬৪ বছর বয়সে সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা নিট পরীক্ষায় পাশ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ওড়িশার এক ব্যক্তি। এই ব্যক্তি হলেন, ওড়িশার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মী জয় কিশোর প্রধান। এখানেই শেষ নয়। সূত্রের খবর, তিনি নয় রাজ্যের বীর সুরেন্দ্র সাঁই ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছেন।
বয়স কোন কাজেই যে কোন বাধা সৃষ্টি করে না সেকথা সকলকে শিখিয়ে দিলেন ওড়িশার এই ব্যক্তি। ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে নিট পরীক্ষায় পাস করতে গিয়ে, অনেক সময় হিমশিম খেয়ে যায় তরুণরা। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ৬৪ বছর বয়সে নিট পরীক্ষায় পাশ করে তাক লাগিয়ে দিলেন জয় কিশোর প্রধান। জানা গিয়েছে যে জয় কিশোর প্রধান আগে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন।
বর্তমানে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। এরপরেই নিট পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, আইএসসি পাস করার পরই মেডিক্যাল জয়েন্ট দিয়েছিলাম। কিন্তু পাস করতে পারিনি। এরপর বিএসসি পাস করে একটি স্কুলে চাকরি পাই। সেখান থেকে ব্যাঙ্কের পরীক্ষা দিয়ে এস বি আই এর চাকরি পাই ১৯৮৩ সালে।
কিন্তু কখনই মাথা থেকে মেডিক্যাল পরীক্ষা নামেনি। এরপর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল হিসেবে নিট পরীক্ষায় পাশ করলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি জানান “২০১৬ সালে অবসর নেওয়ার পর নিট এর প্রস্তুতি শুরু করি এবং এবার তা পাস করেছি। পাস করে বের হব তখন হয়তো কোনও চাকরি পাব না। কিন্তু গরিবদের তো চিকিৎসা করতে পারব।
পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি কিভাবে পেলেন এই নিয়ে প্রশ্ন করলে বীর সুরেন্দ্র সাঁই ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের ডিন জানান, এমবিবিএস এর ভর্তির কোনও আপার এজ লিমিট নেই। এই সেশন থেকেই ক্লাস করবেন জয় কিশোর। তাঁর দুই মেয়ে নিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু একজন মারা যাওয়ার কারণে তার ইচ্ছা তাতে অসম্পূর্ণ থেকে যায়, তাই বাবা হয়ে জয় কিশোর নিজে ডাক্তার হতে চান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।