জুমবাংলা ডেস্ক : আইনস্বীকৃত মুদ্রা সংরক্ষণ ছাড়া অতিরিক্ত ৬৪৫ কোটি টাকা ইস্যু করার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ঘটনায় সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আমীর খসরু বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বিষয়টি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে (টিবিএস) নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২১-২৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক নগদের কার্যক্রমের ওপর বিশদ পরিদর্শন করে।
পরিদর্শনে নগদ লিমিটেডের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে রক্ষিত ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট একাউন্টসমূহে ইস্যুকৃত ই-মানির বিপরীতে রিয়েল মানির ১০১ কোটি টাকার অধিক ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়।
‘নগদ’এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ঘাটতিসহ আরও কিছু গুরুতর আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রশাসক দলের নজরে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার সন্ধ্যায় মামলাটি দায়ের করে।
এনিয়ে নগদের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর এ মিশুক বলেন, নগদের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা ও ডাক বিভাগের সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, যা এখন সত্য। তবে মামলাটি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মামলায় ওনারা বলেছেন, ৬৪৫ কোটি টাকার ই-মানি ঘাটতি রয়েছে নগদে। এই তথ্যটা বানাতে গিয়ে ওনারা হয়তো খেয়াল করেননি যে গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেই আমাদের একটা চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে পরিস্কারভাবে বলা হয়েছে, নগদে ই-মানির ঘাটতি ৪৮ কোটি ৬০ লাখ কোটি টাকার। এখন প্রশ্নটা হলো, সরকার বদলের পরপরই যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক দল নগদ দখল করে নিয়েছেন তাহলে এই টাকার ঘাটতি কি তারাই করেছেন? যদি সেটাই হয়ে থাকে তাহলে এই দায় তো তাদের। ফলে মামলা হলে তো তাদের বিরুদ্ধেই হওয়া উচিৎ‘।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বরং প্রস্তুতি নিচ্ছি, যে ই-মানির যে ঘাটতির কথা বলা হচ্ছে সেটি নগদের প্রশাসক দলই তৈরী করেছেন তারাই বরং এখন আমাদের ওপর এই দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
বাংলাদেশ ব্যাংক জনস্বার্থে গত বছরের ২১ আগস্ট ডাক বিভাগের সম্মতিতে ডাক বিভাগের এমএফএস ‘নগদ’-এ প্রশাসক দল নিয়োগ করে। বর্তমানে প্রশাসক দল ডাক বিভাগের এমএফএস ‘নগদ’এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।