স্পোর্টস ডেস্ক : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটারদের নামে একটা সময় গোটা বিশ্ব ভয়ে কাঁপত। কিন্তু, কালের পরিক্রমায় সেই সময়টা এখন অতীত। এখন দলটার অবস্থা এমন যে বিশ্বকাপ খেলতে হলে তাদের অংশ নিতে হয় কোয়ালিফাই রাউন্ডে। অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তো খেলতে পারেনি এবং নেই ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। অথচ তারই টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন।
বর্তমানে ক্যারিবীয় দলটি যথেষ্ট কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে এগুচ্ছে। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল একাধিক বিশ্বসেরা ক্রিকেটারের জন্ম দিয়েছে। যেখানে রয়েছেন ক্রিস গেইল, ব্রায়ান লারা, ডোয়েন ব্র্যাভো ও ড্যারেন সামির মতো ক্রিকেটাররা। ৭০ ও ৮০’র দশকে উইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে দেখে সবাই ভয়ে কাঁপত। এমনকী, ৯০’র দশকেও সেটা খানিকটা চলে।
পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের আরও একটা জিনিস দেখার মতো ছিল। সেটা ক্রিকেটারদের লাইফস্টাইল। কয়েক বছর আগে ‘দ্য কপিল শর্মা শো’ অনুষ্ঠানে দীপক চাহার এসে জানিয়েছিলেন, চেন্নাই সুপার কিংস দলের তার এক সতীর্থ ক্রিকেটারের নাকি অসংখ্য গার্লফ্রেন্ড রয়েছে। এমনকী, সেই গার্লফ্রেন্ডদের নাকি সন্তানও রয়েছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিকাংশ ক্রিকেটারই এমন লাইফস্টাইল ভালোবাসেন।
তেমনই একজন ক্রিকেটার হলেন টিনো বেস্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের এই প্রাক্তন পেসার তথা গেইল, ব্র্যাভো এবং পোলার্ডের এই সতীর্থ ২০১৬ সালে আত্মজীবনী ‘মাইন্ড দ্য উইন্ডোজ : মাই স্টোরি’ প্রকাশ করেছিলেন। সেখানেই তিনি উল্লেখ করেন যে প্রায় ৬৫০ মহিলার সঙ্গে শুয়েছিলেন তিনি। আর সেকারণেই তিনি নিজেকে ‘ব্ল্যাক ব্র্যাড পিট’ বলেও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি নিজেকে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর ন্যাড়া মাথার পুরুষ বলেও সম্বোধন করেন।
তিনি লিখেন, আমি মহিলাদের ভালোবাসি। মহিলারা আমাকে ভালোবাসে। আমি নিজেকে বিশ্বের সবথেকে সুন্দর ন্যাড়া মাথার পুরুষ বলেও মনে করি। আমাকে অনেকেই মজা করে ব্ল্যাক ব্র্যাড পিট বলে থাকেন। সেইসঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, তিনি মহিলাদের সঙ্গে ডেট করতে এবং শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে ভালোবাসেন। ইতিমধ্যেই ৫০০ থেকে ৬৫০ মহিলার সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেছেন।
সবশেষে বেস্ট জানান, মহিলাদের সঙ্গে যৌ* সম্পর্ক তৈরি করা কিংবা তাদের সঙ্গে ডেট করতে গেলেও, সেটার প্রভাব কোনোদিন খেলার ওপরে পড়তে দেননি। তিনি স্বীকার করেছেন, রাতেরবেলা মহিলাদের সঙ্গে ‘ফস্টিনষ্টি’ করলেও সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তার আর কোনো প্রভাব থাকে না। তার দাবি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলে তার থেকে কঠোর অনুশীলন আর কেউ করতে পারে না।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠ মাতিয়েছিলেন ক্যারিবীয়ান তারকা টিনো বেস্ট। তার দলের অধিনায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।