বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের ৭০-৮০ দশকের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী রেখাকে নিয়ে কম জলখোলা হয়নি এবং আজও তার সিঁদুর পরা নিয়ে নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়। ফিল্ম ক্যারিয়ারের উত্থানের সময় বলিউডের বিভিন্ন অভিনেতাদের সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এর মধ্যে অমিতাভের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। কিন্তু কোন সম্পর্ক টেকেনি। এবার জানা যাক, তিনি অবিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও আজও কেন সিঁদুর পরেন?
জানিয়ে রাখি, রেখা খুবই অল্প বয়সে পরিবারের স্বার্থে চলচ্চিত্রে কাজ করা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি জানতেন না যে তার পর্দায় খ্যাতি পাওয়ার পরেও তার ব্যক্তিগত জীবন দুঃখে ভরা হবে। আসলে ‘দো আনজানে’ ছবির সেটে অমিতাভের সাথে দেখা হয়েছিল রেখার। এরপর তাদের জুটি হিট হয়ে যায় এবং একসঙ্গে অনেক ছবিতে কাজ করেন।
তাদের এই অভিনয় জীবনের পাশাপাশি তারা ব্যক্তিগত সম্পর্কেও জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে অমিতাভকে খুব ভালবাসতে শুরু করে দেয় রেখা। এমনকি অমিতাভও তাকে ভালবাসতেন। কিন্তু বিবাহিত হওয়ার কারণে তিনি রেখাকে কাছে রাখতে পারেননি। এরপর তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে।
অমিতাভ থেকে দূরে সরে গিয়ে ব্যবসায়ী মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাদের সম্পর্কও বেশিদিন টেকেনি, বিয়ের কয়েক মাস পরই মুকেশ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর রেখাকে মানুষের কাছে অনেক কটুক্তি শুনতে হয়েছিল। কেউ কেউ তাকে অপয়া বলেও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে শুরু করে।
এরপর অভিনেতা বিনোদ মেহরার সঙ্গে সম্পর্কে আসেন রেখা। দুজনেই দীর্ঘদিন একে অপরকে ডেট করেছেন। এমনকি শোনা যায় যে তারা গোপনে বিয়েও করেছিল। কিন্তু বিনোদের মা রেখাকে পছন্দ করতেন না। এমনকি মাঝেমধ্যে দেখাতে প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। এরপর রেখা ও বিনোদ মেহরার সম্পর্কও ভেঙে যায়।
এরপর রেখা নাকি সঞ্জয় দত্তকেও বিয়ে করেছিলেন এবং আজও সঞ্জয়ের নামেই সিঁদুর পরেন। ইয়াসিন ওসমানের লেখা রেখার জীবনীতে এটি উল্লেখ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। যদিও পরবর্তীতে বইটির লেখক এসব এড়িয়ে গিয়ে বলেন লোকেরা বইটা ঠিকমতো পড়েনি।’ এমনকি অক্ষয় কুমারের সাথেও তার সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়ে ছিল।
একবার ১৯৮২ সালে ‘উমরাও জান’ ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেতে স্টেজে পৌঁছেছিলেন রেখা। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তোমার সিঁথিতে সিঁদুর কেন? এ বিষয়ে রেখা বলেন, ‘আমি যে শহর থেকে এসেছি সেখানে সিঁদুর লাগানো ফ্যাশনেবল…. আমি সিঁদুর পছন্দ করি। তাই লাগিয়েছি।’ বর্তমানে তিনি একাই থাকেন মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল প্রাসাদে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।