খেলাধুলা ডেস্ক : ফাইনালের টিকিট কাটতে হলে শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ২৫ রান। লঙ্কান দুই ব্যাটারও চাপ সামলে খেললেন দারুণ। কিন্তু পাকিস্তানের মুলতানে দিনটা ছিল বাংলাদেশের। হোক না দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপ। শেষের ওভারে এলো ১৮ রান। ম্যাচের শেষ বলের আগেই বাংলাদেশের দৃষ্টিহীন ক্রিকেটাররা বুঝেছিলেন ইতিহাস গড়তে চলেছেন তারা। শেষ পর্যন্ত ৬ রানের জয়ে অন্ধদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট কাটল বাংলাদেশ দল।
অন্ধদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত এবার আসেনি বিশ্বকাপ খেলতে। পাকিস্তানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি অন্ধ বিশ্বকাপ থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছিল সবমিলিয়ে চার দেশ। অন্যান্য বারের তুলনায় তাই কিছুটা সহজ প্রতিযোগিতাই হয়েছে এবারের আসরে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) মুলতানে অনুষ্ঠিত অন্ধ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্রটির বিপক্ষে লিগ পর্বেই জয় এসেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীদের। সেটাই ধরে রাখল সেমিফাইনালের বিগ স্টেজে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ক্রিজে ঝড়ই তুলেছে বাংলাদেশ। ওপেনিং জুটিতেই সালমান এবং আরিফ যোগ করেন ১৭৭ রান। মোহাম্মদ সালমানই অবশ্য বেশি আগ্রাসী ছিলেন। সেঞ্চুরি পাননি দুর্ভাগ্যবশত। তবে আউটের আগে ৪৯ বলে করেছিলেন ৯৭ রান। এরপর বাংলাদেশের হয়ে আর কেউই সেভাবে স্কোর করতে পারেননি। সালমানের আউটের পর অন্য ওপেনার আরিফই রানের চাকা সচল রেখেছেন। ৫৬ বলে করেছেন ৮১ রান। ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৪ রান।
২৪৫ রানে লঙ্কানরা খেলতে নামলে তাদের বিপক্ষে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশের বোলাররা। শুরুর ৫ ওভারের মাঝেই হারাতে হয়েছে ৩ উইকেট। এরপরেই বেশ একটা দুঃসময় পার করেছে বাংলাদেশ। চন্দনা দেশপ্রিয়র ব্যাট থেকে আসে ৫৪ বলে ৮৬ রানের ইনিংস। কিন্তু আগেপরে কেউই তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ছিল বাংলাদেশের মুখে।
আগামী ৩ ডিসেম্বর ফাইনালে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। দিনের অন্য সেমিফাইনালে ৩ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ১০ উইকেটের সহজ জয় পায় নেপালের বিপক্ষে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।