মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বিএনপির অনুষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুরের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানসহ সাত জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা। জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আ.ফ. ম নুরতাজ আলম বাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো ইউপি চেয়ারম্যানরা হলেন, উপজেলার বাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান মো. বাচ্চু মিয়া, চালা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ, রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল হোসেন, বলড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন কুন্নু ও হারুকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন।
এছাড়া, বয়ড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহিদুর রহমান মহিদ ও চালা ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই কাজী বাদলকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মেছবাউল হক বলেন, রোববার তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতার আন্ধারমানিক গ্রামের বাড়িতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে রিতার ঘরবাড়ি ভাঙচুরসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়।
এ ঘটনায় প্রায় আড়াই বছর পরে গত ২৯ অক্টোবর হরিরামপুর থানায় মামলা করেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন খান দুলাল। এতে সাবেক সাংসদ মমতাজ বেগমসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।
উল্লেখ্য আটককৃতরা গত ১৮ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে একমাসের আগাম জামিনে ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।