বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : প্রকৃতি ও পরিবেশের বৈচিত্র্য এবং দ্রুতগতির জীবনযাপনের কারণে বাংলাদেশে স্মার্টফোন প্রতিদিন নানা ঝুঁকির মুখে পড়ে। সকালবেলায় তাড়াহুড়ো করে বের হওয়া থেকে শুরু করে সন্ধ্যার ঝড়-বৃষ্টি কিংবা রান্নাঘর—সব জায়গায়ই প্রিয় ডিভাইসটির ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। স্মার্টফোনকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। নিচে জানানো হলো, কীভাবে আপনার অজান্তেই ফোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
দ্য গ্রেট ফল: স্লিপস, ড্রপস অ্যান্ড ক্র্যাকস
স্মার্টফোনের ক্ষতি শুরু হয় ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই। দুর্ঘটনাবশত হাত থেকে পড়ে গেলে প্রথমেই ডিসপ্লে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চলন্ত যানবাহনে ফোন ব্যবহারের সময় হঠাৎ গতি পরিবর্তন বা বাঁক নিলে ফোন পড়ে গিয়ে ভেঙে যেতে পারে। বাইক চালানো, ঘামে ভেজা হাত কিংবা রিকশার ঝাঁকুনিতে ফোন পড়ে যাওয়ার ঘটনাও প্রায়ই ঘটে।
বৃষ্টি বা পানির আক্রমণ
হঠাৎ বৃষ্টিতে আপনি এবং আপনার ফোন উভয়েই ভিজে যেতে পারেন, বিশেষ করে যদি ফোনটি ওয়াটারপ্রুফ না হয়। বাসায় কাজ করতে গিয়েও ফোন পড়ে যেতে পারে বালতি বা সিঙ্কে। এসব ক্ষেত্রে ফোন হয়তো প্রথমে কাজ করে, কিন্তু ধীরে ধীরে পুরোপুরি অকেজো হয়ে যায়।
বিপজ্জনক ‘দেশি সমাধান’
ফোন ভিজে গেলে চালের মধ্যে রাখা, সরাসরি রোদে শুকানো, হেয়ার ড্রায়ার বা টুথপেস্ট ব্যবহার করে স্ক্রিন ঠিক করার মতো ‘সমাধান’ অনেকেই করেন। কিন্তু এগুলো ফোনের জন্য আরও বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ধুলো, ঘাম ও তাপ: নীরব ঘাতক
ধূলোমাখা রাস্তায় চলাচলের সময় ফোনের পোর্টে ধুলো জমে। গরমে হাতের ঘাম বাটনে জমে তা নষ্ট করে ফেলে। আবার অতিরিক্ত গরম জায়গায় ফোন রেখে দিলে ব্যাটারি ও যন্ত্রাংশের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়।
নষ্ট ফোনের সঙ্গে আপোষ
অনেকেই ভাঙা স্ক্রিন বা চার্জিং সমস্যার ফোন চালিয়ে যেতে থাকেন। কারণ নতুন ফোন কেনা বা ঠিক করতে সময়, টাকা ও ধৈর্য লাগে। ফলে ব্যবহারকারীরা যতদিন পারা যায় পুরোনো ফোনই চালিয়ে যান।
সমাধানে প্রযুক্তি
এইসব ঝুঁকি মাথায় রেখে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলো বিভিন্ন প্রযুক্তি ও ফিচার এনেছে। এ ফিচারগুলো ধুলো, পানি ও আঘাত থেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। এতে করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা হয় আরও উন্নত ও নিরাপদ।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel