লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানুষ মাত্রই ভুল করে। কেউ দোষ-ত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। তবে বিয়ের আগে সারা জীবন যার সঙ্গে থাকবেন- অর্থাৎ আপনার সঙ্গীর দোষ-গুণগুলো ভালোভাবে যাচাই করে নিন। দুজন মানুষের সব কিছু মিলবে বিষয়টা এমন না।
তবে বেশ কিছু বিষয় আছে, যেগুলো জীবসনঙ্গী বাছাই করার আগে খেয়াল রাখা জরুরি। সাতটি অভ্যাস যদি আপনার সঙ্গীর মধ্যে থাকে, তবে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বাছাই না করাই শ্রেয়।
ওয়াদা ভঙ্গ করা : আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে ওয়াদা করে বারবার ভাঙতে থাকে, তবে তা চিন্তার বিষয়। এক বা দুইবার হলে মাফ করে দিতে পারেন; কিন্তু বারবার যদি একই কাজ করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে তাহলে আপনাকে সে বোকা বানাচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ করা : আপনি কী খাবেন, কী পরবেন, কীভাবে হাঁটবেন, কোথায় যাবেন এসব বিষয় যদি সব সময় আপনার সঙ্গী নিয়ন্ত্রণ করে, তবে তা নিতান্তই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। সম্পর্কের শুরুতে এসব ভালো লাগলেও একটা সময়ে গিয়ে চরম বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
স্বাভাবিক বিষয় না মানা : দেওয়া, নেওয়া এবং সবার মধ্যে শেয়ার করার ভিত্তিতে সম্পর্ক টিকে থাকে। যদি আপনার সঙ্গী এই নীতিতে বিশ্বাস না করে, তবে তার আপনার জীবন থেকে বেরিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ সঙ্গী হলো এমন একজন, যাকে অভিভাবকদের পরেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
বারবার স্যরি বলা : সঙ্গী যদি একই ভুল বারবার করে এবং স্যরি বলে, তবে বিষয়টি অবশ্যই চিন্তার। কারণ স্যরি হলো কোনো কমা বা ফুল স্টপ না, স্যরি একটা আবেগ বা অনুভব করার জায়গা। স্যরি বলার পর যাতে করে ওই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কিন্তু আপনার সঙ্গী যদি বারবার ভুল করে স্যরি বলে, সে ক্ষেত্রে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বাছাই না করা ভালো।
মতামতের গুরুত্ব না দেওয়া : আমাদের সবার মধ্যে কমবেশি ইগো আছে। তবে এই ইগো বা আত্ম-অহংকারের বশে আপনার সঙ্গী যদি আপনার কথা বা মতামতের গুরুত্ব না দেয়, তবে তা চিন্তার বিষয়। আপনার সঙ্গী যদি সব সময় নিজের মতামতকে উপস্থাপন করতে চায়, তবে তাকে জীবনসঙ্গী করার আগে কয়েকবার ভেবে দেখুন।
মিথ্যাবাদী : বিপদে পড়লে দু-একটা মিথ্যা বললে ঠিক আছে; কিন্তু আপনার সঙ্গী যদি নিয়মিত মিথ্যা বলে থাকে, তবে তা চিন্তার বিষয়। কারণ এই মিথ্যা থেকে অনেক সমস্যা তৈরি হয়।
সাহসী দৃশ্যে অভিনয় করে লাখো পুরুষের রাতের ঘুম কাড়লেন রাজসী ভার্মা
লেগে থাকা : আমরা এমন একটা মানুষ চাই, যে সারা জীবন কেয়ার করবে। কিন্তু কথায় আছে- অতিরিক্ত কোনো কিছু ভালো না। আপনার পরিবার, বন্ধুবান্ধব সবার জন্য আলদা কিছু সময় রাখার দরকার আছে। সব সময় যদি আপনার সঙ্গী আপনার সঙ্গে লেগে থাকে, তবে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়ে বলুন যে আপনারও নিজস্ব একটু সময়ের দরকার আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।