চিকিৎসা জগতে এক চমকপ্রদ ও বিরল কেস হিসেবে ধরা পড়েছে, যেখানে ৭০-এর কোঠার একটি মহিলার গর্ভে ৪০ বছর ধরে জমে থাকা “পাথরের শিশু” বা ক্যালসিফায়েড ভ্রূণ পাওয়া গেছে। মহিলাটি হাসপাতালে যান পেটের ব্যথা নিয়ে, তখনই চিকিৎসকেরা এই অভূতপূর্ব আবিষ্কার করেন।

মহিলাটি জানতেন না যে তিনি কখনো গর্ভবতী ছিলেন, অথচ চার দশক ধরে তার শরীরে একটি মৃত ভ্রূণ ক্যালসিফায়েড অবস্থায় জমে ছিল। এই বিরল অবস্থা ‘লিথোপেডিয়ন’ নামে পরিচিত। এটি ঘটে যখন ভ্রূণ একটি পেটের গর্ভধারণে মারা যায় এবং দেহ তাকে শোষণ করতে অক্ষম হয়। সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য দেহ ভ্রূণটিকে পাথরের মতো কঠিন করে তোলে। চিকিৎসা ইতিহাসে এরকম কেস ৪০০-এর কমই রেকর্ড করা হয়েছে।
মহিলাটি তার আগের জীবনে কোনো স্ক্যান বা বড় ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাননি। পেটের নীচের অংশে দীর্ঘমেয়াদি অস্বস্তি অনুভব করার পর চিকিৎসকেরা ইমেজিং করালে পেলেন একটি কঠিন ভর, যা ভ্রূণের বাঁকা অবস্থার মতো।
পরবর্তী সার্জারিতে নিশ্চিত হলো স্ক্যানের ফলাফল: সম্পূর্ণ ক্যালসিফায়েড ভ্রূণ, যার মৃত্যু দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ঘটেছিল প্রায় ৪০ বছর আগে। এত বছর ধরে এটি চুপচাপ মহিলার গর্ভে ছিল এবং বড় কোনো সমস্যা সৃষ্টি করেনি।
যদিও ঘটনা বিস্ময়কর, চিকিৎসা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পাথরের শিশুটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং মহিলার সুস্থতা কোনো জটিলতা ছাড়াই ফিরেছে। এই কেসটি এখন চিকিৎসা জগতে বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—দেহের আশ্চর্যজনক ও সুরক্ষামূলক ক্ষমতার প্রমাণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



