জুমবাংলা ডেস্ক : উল্লাপাড়ায় মাত্র ৭০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতুর জন্য সাত দশক ধরে অপেক্ষায় রয়েছেন উপজেলার দুই ইউনিয়নের অন্তত ১০ গ্রামের বাসিন্দা। বড়হর ইউনিয়নের অলিপুর–পাঁচলিয়া আঞ্চলিক সড়কে সরাতৈল গ্রামে ফুলজোড় শাখা নদীতে সেতুটি নির্মাণে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন তারা।
জানা গেছে, ফুলজোড় শাখা নদীতে সেতু না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বড়হর ইউনিয়ন ও সরাতৈল ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। সরাতৈল, অলিপুর, আমডাঙ্গা, বোয়ালিয়া, বড়হর, গুয়াগাতি, পূর্ব দেলুয়া, বাগদা, চর বাগদা, ও খাসচর জামালপুরের বাসিন্দারা সেতুর জন্য অনেকবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন দলের জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও সেতু না হওয়ায় বারবার নিরাশ হতে হয়েছে এসব গ্রামের বাসিন্দাদের। ফলে প্রতিবছর চাঁদা তুলে ফুলজোড় শাখা নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছেন তারা। কোনো কোনো বছর সাঁকো নির্মাণে বড়হর ইউপি পরিষদ থেকেও অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, প্রতিদিন ১০ গ্রামের আট শতাধিক শিক্ষার্থী সাঁকো ব্যবহার করে নদীর উভয় পাশের সরাতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, সরাতৈল প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, অলিপুর স্কুল ও কলেজ, নর্থ আমডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাগলা উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে থাকে। এসব গ্রামের বাসিন্দারা নানা প্রয়োজনে প্রতিদিন সাঁকো পেরিয়ে সরাতৈল বাজার, আমডাঙ্গা বাজার, ডাকঘর ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যান। সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ লোকজন পড়ে গিয়ে আহত হন।
সরাতৈল গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক আব্দুল মান্নান তালুকদার এবং মাহমুদুজ্জামান বাবলা জানান, ১৯৫০ সাল থেকেই এই নদীর উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে আসছেন গ্রামের লোকজন। প্রায় বিশ বছর ধরে এলাকাবাসী এখানে সেতু নির্মানের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনেকবার ধর্ণা দিলেও কোনো কাজ হয়নি। ফলে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোতেই নদী পার হতে হচ্ছে তাঁদের। সেতু নির্মাণে পঞ্চমবারের মতো চলতি বছরও ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরাতৈল ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান নান্নু জানান, এলাকার লোকজন অনেকবার ফুলজোড় শাখা নদীতে সেতু নির্মাণের জন্য তাঁর পরিষদে আবেদন দিয়েছেন। কিন্তু পরিষদের তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তাঁরা এখানে সেতু নির্মাণ করতে পারছেন না।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের উল্লাপাড়া অফিস প্রধান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ফুলজোড় শাখা নদীতে ৭০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের জন্য তাঁর অফিস থেকে একটি প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্প্রতি সেটি অনুমোদনের জন্য ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।