আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রায় ৭৫৫ বছরের একটি পুরোনো ঐতিহাসিক মসজিদ পুনরায় চালু করেছে মিসর। দীর্ঘ সংস্কারের পর সোমবার ত্রয়োদশ শতকে নির্মিত এই মসজিদটি খুলে দেওয়া হয়।
ঐতিহাসিক মসজিদটি অতীতে বছরের পর বছর ধরে সাবান কারখানা, কসাইখানা এবং দুর্গ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়েছিল।
রয়টার্স বলছে, দীর্ঘ সংস্কারের পর খুলে দেওয়া মসজিদটির নাম আল-জাহির বেবারস মসজিদ। ১২৬৮ সালে মামলুক শাসনের অধীনে নির্মিত মসজিদটি মধ্য কায়রোর ঠিক উত্তরে তিন একর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। এটি মিসরের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটির সংস্কার কার্যক্রমে ব্যয় হয়েছে ৭৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
কাজাখস্তানের সঙ্গে সহ-অর্থায়নের মাধ্যমে ২০০৭ সালে এই সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। নির্মিত হওয়ার পর থেকে মসজিদটি ধর্মীয়ভাবেই চালু ছিল। তবে গত ২২৫ বছর ধরে মসজিদটি হয় বন্ধ ছিল, আর না হয় পরিত্যক্ত বা অ-ধর্মীয় উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়ে আসছিল।
আর এর ফলেই ঐতিহাসিক এই মসজিদটি ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়। মিসরে নেপোলিয়নের অভিযানের সময় এই মসজিদটি একটি সামরিক দুর্গ হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তারপর ১৯ শতকে অটোমান শাসনের অধীনে এটি সাবান কারখানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
পরে ১৮৮২ সালে ব্রিটিশরা মিসরে আক্রমণ করলে এটি একটি কসাইখানা হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
আল-জাহির বেবারস মিসরের ইতিহাসে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। মিসরে মামলুক শাসনকে দৃঢ় করার কৃতিত্ব তারই। ১৫১৭ সাল পর্র্যন্ত টানা তিন শতাব্দীজুড়ে বিস্তৃত ছিল মামলুক শাসন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।