বিগত কয়েক বছরের উত্তেজনা ও সীমান্ত বিরোধ পেছনে ফেলে চীন ও ভারতের মধ্যে এখন আস্থা গভীর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুই দেশের শীর্ষ নেতা। তারা ঘোষণা দিয়েছেন, দুই দেশ প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং অংশীদার হতে চায়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রবিবার তিয়ানজিনে শাংহাই সহযোগিতা সংস্থা (এসসিও) সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠকে বসেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাত বছর পর এটাই মোদির চীন সফর। বৈঠকে শি বলেন, চীন-ভারত সম্পর্ককে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিপ্রেক্ষিত থেকে দেখা উচিত। তার ভাষায়, বন্ধু হওয়াই দুই পক্ষের জন্য সঠিক পছন্দ।
মোদি বৈঠকে জানান, দুই দেশের মধ্যে এখন শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, ২০২০ সালে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর স্থগিত হওয়া ভারত-চীন ফ্লাইট আবার চালু হবে। যদিও নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ করেননি।
সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের নেতা অংশ নিচ্ছেন। উপস্থিত রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। তবে এবারের বৈঠক ছাপিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন, দিল্লি রুশ তেল আমদানি চালিয়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো।
এসসিও ২০০১ সালে চীন, রাশিয়া ও মধ্য এশিয়ার চার দেশ মিলে গঠন করে পশ্চিমা জোট ন্যাটোর প্রভাব মোকাবিলায়। বর্তমানে এ সংগঠনের সদস্য ১০টি দেশ। সঙ্গে আছে ১৬টি সংলাপ ও পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র।
তিয়ানজিনের জন্য এ সম্মেলন এখন বড় উৎসবে পরিণত হয়েছে। শহরের প্রধান সড়ক ও ভবনজুড়ে ঝুলছে ব্যানার-বিলবোর্ড। রাতে হাজারো মানুষ ভিড় জমাচ্ছে নদীর তীরের আলোকসজ্জা দেখতে।
তবে শহরের কেন্দ্রীয় এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ও সড়ক অবরোধে স্থানীয়দের চলাচলে ভোগান্তি তৈরি হয়েছে। পুলিশ বাসিন্দাদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে নিকটবর্তী দোকান থেকে কেনাকাটার পরামর্শ দিয়েছে।
ঐতিহাসিক জিয়েফাং সেতুর আশপাশে জটলা, ভিড় আর বিদেশি নেতাদের গাড়িবহরের জন্য বাধা—সব মিলিয়ে ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের এ শহরে উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে এবারের এসসিও সম্মেলন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।