আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ডং নামের এক চীনা নারী মোবাইল ফোন ছাড়া আট ঘণ্টা কাটানোর একটি অনন্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। প্রতিযোগিতায় মানসিক উদ্বেগ ছাড়াই এই সময় কাটানোর জন্য তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেন। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাত দিয়ে এনডিটিভি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেলস ম্যানেজার ডং ১০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে বিজয়ী হয়ে ১০ হাজার ইউয়ান পুরস্কার জিতেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চংকিংয়ে একটি অজ্ঞাত সংস্থার আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস জমা দিতে হয় এবং নির্ধারিত নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট বিছানায় আট ঘণ্টা কাটাতে হয়। প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য ছিল প্রযুক্তির ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরশীলতা তুলে ধরা এবং মানুষকে মানসিক সচেতনতা ও ডিজিটাল ডিটক্স চর্চায় উৎসাহিত করা।
প্রতিযোগীরা সংক্ষিপ্ত টয়লেট বিরতির জন্যই কেবল বিছানা ছাড়তে পেরেছেন, যা প্রতিবার পাঁচ মিনিটের জন্য সীমাবদ্ধ। আট ঘণ্টার মধ্যে বিছানার বাইরে থাকার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
খাবার ও পানীয় বিছানায় বসেই গ্রহণ করতে হয়েছে। মোবাইল ফোন ব্যবহার, গভীরভাবে ঘুমানো, কিংবা উদ্বেগ প্রকাশ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। ঘুমের গুণগত মান ও উদ্বেগের মাত্রা পর্যবেক্ষণের জন্য প্রতিযোগীরা কব্জিতে বিশেষ স্ট্র্যাপ পরেছিলেন। তবে সময় কাটানোর জন্য বই পড়া বা চোখ বন্ধ রেখে বিশ্রাম করার অনুমতি ছিল।
ডং সহজেই এই চ্যালেঞ্জ সম্পন্ন করেন এবং তার দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল ফোনের কম ব্যবহারের অভ্যাস তাকে এ কাজে সাহায্য করে। তিনি ১০০-এর মধ্যে ৮৮.৯৯ স্কোর করে ১০ হাজার ইউয়ান পুরস্কার জিতেছেন। এ ছাড়া পাজামা পরে আরাম করার কৌশল তাকে সাফল্য এনে দেয়। এর ফলে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘পাজামা বোন’ নামেও পরিচিত হন। তার নিয়মিত অভ্যাস, যেমন সন্তানের পড়াশোনায় সাহায্য করা এবং ফোনে সময় নষ্ট না করা তার জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এই প্রতিযোগিতা চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। অনেক ব্যবহারকারী কৌতূহল ও আনন্দ প্রকাশ করেছেন। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চাই। এটা খুব মজার মনে হচ্ছে এবং মোটেও কঠিন নয়।’
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘আমার দাদি এই পুরস্কার জিততে পারবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।