জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালে এখনও উত্তাপ ছড়াচ্ছে কাঁচামরিচ। নগরীসহ জেলার হাট-বাজারগুলোতে এখনো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। কোথাও কোথাও প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়। আর বরিশাল নগরীর বিভিন্নস্থানে এখন এক কেজি আম পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫০ টাকায়, সেক্ষেত্রে ৮ কেজি আমের মূল্য দিয়ে ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে এক কেজি কাঁচা মরিচ!
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হঠ্যাৎ করে কাঁচামরিচের দাম ৮০০ টাকা হয়ে যায় বরিশালে। বিভাগের কোথাও কোথাও প্রতিকেজি ১হাজার টাকা করে বিক্রি হওয়ারও খবর পাওয়া যায় তবে ভারতীয় কাঁচামরিচ বরিশালে আসার পরে পাইকারী প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এছাড়া খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এমনকি ৩০০টাকা কেজিও বিক্রি হয়েছিলো।
তবে এর প্রায় সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও বরিশালে ফের ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। আর বাজারে কাঁচামরিচের আমদানি থাকার পরেও দাম না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
হারিছ উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, বগুড়া রোডে দেখলাম আম বিক্রি হচ্ছে মাইকিং করে মাত্র ৫০ টাকায় আর বরিশালে কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকা! আমরা সাধারণ মানুষ কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।
সজিব আহমেদ তারেক নামে এক ক্রেতা জানান, চৌমাথা বাজারে দেখলাম সবচেয়ে খারাপ অবস্থার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়, ভালো মানের মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৮০/৪০০ টাকায় এটি আবার কেউ কেউ ৪৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।
আরিফুর রহমান নামে আরেক ক্রেতা বলেন, একদিকে ভারতীয় কাঁচামরিচ আরেকদিকে দেশের কাঁচামরিচ সবমিলিয়ে এখন কাঁচামরিচের ঘাটতি নেই তারপরও অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কাঁচামরিচের দাম বাড়িয়ে রেখেছন, এর জন্য ক্ষতি হচ্ছে আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের।
বাজার মনিটরিং না থাকায় কাঁচা মরিচের দাম কমছে না বলেও জানান এই ক্রেতা।
এদিকে পোর্ট রোডের সবজি বিক্রেতা আলমগীর মুন্সি বলেন, আমরা কম দামে কিনলে কম দামে বিক্রি করতে পারি। আমাদের কাঁচামরিচ পাইকারী কিনতে হচ্ছে ৩০০ টাকা করে ৪০০ টাকায় বিক্রি না করলে আমাদের পোষায় না।
অন্যদিকে কাঁচামরিচের মূল্য বৃদ্ধির মূল হোতা অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রুখতে বরিশালের বাজারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং এর দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।