লাইফস্টাইল ডেস্ক : রেহনুমার নতুন বিয়ে হয়েছে। বিয়ের আগে সে ভালোই স্লিম ছিল। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যে দেখছে সেই বলছে সে হঠাৎ করে মুটিয়ে যাচ্ছে সে। এছাড়া খুবই দ্রুত। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরে রেহনুমা। টেনশনে পরে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেন রেহনুমা। কিন্তু তাতে হিতে-বিপরীত হতে থাকে। কারণ না খেয়ে, টেনশনে না ঘুমিয়ে রেহনুমা দিন দিন আরো মোটা হতে শুরু করে।
এই ঘটনা শুধু রেহনুমার ক্ষেত্রে সব নারীরাই বিয়ের পরপরই মোটা হতে থাকেন। কেন, কিভাবে মোটা হচ্ছে না বুঝেই অনিয়ম করে শরীর আরো ভারি করে ফেলেন। আসুন কারণগুলো জেনে নেই এবং মেনে চলার চেষ্টা করে শরীরকে ফিট রাখি।
১.সঠিক খাদ্যাভ্যাস না মানা :
বিয়ের আগে আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে অনেক মেয়ে কঠিন ডায়েট বা খাদ্যাভ্যাস মেনে চলে। চর্বিযুক্ত খাবার, কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড সব কিছুতেই তখন তাদের ‘না’ থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সব সময়ই একটা তাগিদ থাকে। তবে অনেকেই বিয়ের পর এই খাদ্যাভ্যাস আর ঠিকমতো মেনে চলতে পারে না।
২.ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবার :
বিয়ের পর বিভিন্ন দাওয়াতে গিয়ে বা বাড়িতে অতিথি এলে ভাজা খাবার এবং তেল জাতীয় খাবারগুলোই বেশি খাওয়া হয়। এ কারণে ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। আবার অনেক মেয়েই নতুন নতুন রেসিপি রান্না করে পরিবারের লোকজনকে খাওয়াতে ভালোবাসেন। এটিও ওজন বাড়ার একটি বড় কারণ। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, পরিবারের সবাইকে ভালো ভালো খাবার খাওয়াতে ভালোই লাগে, তবে এর মানে এই নয় যে, আপনাকেও সে সব খাবার চেখে দেখতে হবে!
৩.নিজের জন্য সময় নেই :
বিয়ের পর নতুন সম্পর্ক, নতুন মানুষজন, সব কিছুর ভিড়ে নিজের জন্য সময় বের করা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তখন গুরুত্ব বদলে যায় বা অগ্রাধিকার বদলে যায়, ফলে নিজের প্রতি আর নজর দেওয়া হয় না, ব্যায়াম তো দূরের বিষয়। বিয়ের পর মুটিয়ে যাওয়া এটি একটি বড় কারণ। আগে হয়তো ব্যায়ামের জন্য বা স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস পালনের জন্য সময় বের করতেন, তবে বিয়ের পর এগুলো আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের সদস্যদের সময় দিতে গিয়ে বা সংসারের কাজের ঝামেলায় নিজের জন্য আর সময়ই পাওয়া যায় না। মুটিয়ে যাওয়ার ঝুঁকির কথা ভেবে তাই নিজের জন্য সময় বের করুন। খাওয়াদাওয়ায় নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করুন।
৪. বাইরের খাবার :
বিয়ের পর মেয়েদের ওজন বেড়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ রান্না এড়িয়ে যাওয়া এবং বাইরের খাবার খাওয়া। অনেকেই বিয়ের পর রান্নার ক্ষেত্রে অতটা পটু থাকেন না, তখন বাইরের খাবার হয় ভরসা। বাইরের খাবার বা হোটেলের খাবারে প্রচুর তেল দেওয়া হয়। এই অস্বাস্থ্যকর খাবার ওজন বাড়িয়ে দেয়।
৫.গর্ভধারণের জন্য :
গর্ভধারণের কারণে অধিকাংশ নারী ওজন বাড়িয়ে ফেলেন। গবেষণায় দেখা যায়, প্রায় ১০ থেকে ১২ কেজি ওজন এই সময়টায় বেড়ে যায়।
৬. জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি :
জন্মনিয়ন্ত্রক পদ্ধতি গ্রহণ যেমন পিল বা ইনজেকশন এসব গ্রহণের কারণেও বিয়ের পর মেয়েরা মোটা হয়ে যায়।
৭.নিজেদের কাছে বেশি সময় থাকতে চাওয়া :
অনেক স্বামীই রয়েছেন, যারা বেশি সময় ধরে স্ত্রীর সঙ্গ পছন্দ করেন। যার জন্য হয়তো স্ত্রীর আর ব্যায়াম করা হয়ে ওঠে না। পরস্পরের বোঝাপড়ার জন্য এটি অবশ্যই ভালো। তবে স্বাস্থ্যকেও তো গুরুত্ব দিতে হবে। তাই স্বামীকেও উদ্বুদ্ধ করুন আপনার সঙ্গে ব্যায়াম করতে। অথবা দুজনে একত্রে কোনো জিমে ভর্তি হয়ে যেতে পারেন।
১০০ রুপির পুরোনো নোটের ছবিটি ভারতের কোথায় অবস্থিত? অনেকেই জানেন না
৮. আলস্য :
অলস লোকেরা শুধু খায় আর ঘুমায়। শরীরকে ফিট এবং কর্মক্ষম রাখার জন্য আর কোনো কাজ করে না। বিয়ের পর অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আবার অনেকে নিজের প্রতি এতই অবহেলা দেখায় যে শরীরের যত্ন নেয় না। বিয়ের পর ওজন বাড়ার বড় কারণ এই আলস্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।