জুমবাংলা ডেস্ক : এক গাছে ৮ জাতের আম। সেই আমগাছ দেখতে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। প্রতিদিনই বাড়ছে দর্শনার্থীর সংখ্যা। এমনই আমগাছ ফলন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে মাদারীপুরের হর্টি কালচার সেন্টারের কর্মকর্তারা। কিউযাই, মিয়াজাকি, থাই জ্যামবো, পলিমারসহ ৮ জাতের আম গাছটিতে ফলন হচ্ছে বারোমাস।
জানা যায়, দেড় বছর আগে একটি আমগাছ লাগানো হলে ছয়মাসের মাথায় ফল ধরার আগেই নষ্ট হয়ে যায়। সেই জায়গাটিতে এক বছর আগে আমগাছের ৮ প্রজাতির কলম তৈরি করা হয়। যা বছর না ঘুরতে ফলন হয়েছে। এখানে রয়েছে আফ্রিকান জনপ্রিয় অ্যাভোক্যাডো ফল। এটি হাড়ক্ষয় প্রতিরোধ, উচ্চ রক্তচাপ রোধসহ মানবদেহের জন্য বেশ উপকারী। দেশের মধ্যে এর চাষ হাতেগোনা দু’একটি জেলায় শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদের পরিকল্পনার কথা ভাবছে কর্মকর্তারা।
শুধু আম আর অ্যাভোক্যাডা’ই নয়। হর্টি কালচার সেন্টারে দেখা মিলবে লিচু, কাঁঠাল, পেয়ারা, আমলকি, আমরা, লেবুসহ নাম না জানা অন্তত ৮০ হাজার ফলের কলম ও চারা। সুন্দর এমন ফলের বাগানে সময় কাটাতে ছুটে আসছেন অনেকেই। মনোমুগ্ধকর পরিবেশে ঘুরতে পেরে খুশি দর্শনার্থীরা।
কর্তৃপক্ষ জানায়, হর্টিকালচার সেন্টারে মাঠ কর্মী রয়েছেন ২৭ জন। আর অফিসে ১৪ জন কর্মকর্তা মিলে দেখাশোনা করছেন এই প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশেই মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুরের চতুরপাড়ায় নির্মাণ করা হয় হর্টিকালচার সেন্টার। ২০১৩ সালে ১২ দশমিক ৬০ একর জায়গার উপর নির্মিত হর্টি কালচার সেন্টারটি ফলের উদ্যান নামেও বেশ পরিচিত।
এখানে ঘুরতে আসা তুবা খানম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রায়ই বান্ধবীদের নিয়ে ঘুরতে আসি। হর্টি কালচার সেন্টারটি কুমার নদের পাড়ে হওয়ায় পরিবেশটাও ভাল। বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আনন্দ করা যায় এখানে।
রাজ আহম্মেদ নামে একজন বলেন, হর্টি কালচার সেন্টারে আসলে ফলের বাগানের পাশাপাশি নানান জাতের ফুল দেখেও মন জুড়িয়ে যায়। এটি আশপাশের প্রধান বিনোদন কেন্দ্র।
রুবেল মাতুব্বর নামে একজন বলেন, এক গাছে ৮ জাতের ফল। প্রথমে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। নিজ চোখে দেখার পর চিন্তাভাবনার পরিবর্তন এসেছে। এই জাতের ফল বাগান তৈরি করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
মাদারীপুরের হর্টি কালচার সেন্টারের উচ্চমান সহকারী জাকির হোসেন বলেন, হর্টি কালচার সেন্টারে ৮০ হাজার ফলের চারা ও কলম রয়েছে। প্রতিটি ফলই উপকারী। যারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন ফল বাগান করার, তাদের পরামর্শসহ নানান নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
মাদারীপুরের হর্টি কালচার সেন্টারের উদ্যান কর্মকর্তা এমদাদ হোসেন লিটন বলেন, মাথা দিয়ে চিন্তাভাবনা করলে নতুন নতুন পরিকল্পনা বের হয়। আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব। এর অন্যতম উদাহরণ হলো একগাছে ৮ জাতের আম। এই গাছটিতে বারোমাসই ফল দিচ্ছে। অনেক চাষি পরামর্শ নিচ্ছেন বাণিজ্যিকভাবে এই আমগাছের চাষাবাদ করার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।