জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) করা এক জরিপে জানা গেছে, মেট্রোরেল ব্যবহারকারী মোট যাত্রীর ৮০ শতাংশ সার্বিক সেবায় পুরোপুরি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ২০ শতাংশ যাত্রী সব কিছু মিলিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট না হলেও তারা কোনো কিছু নিয়ে তীব্র অভিযোগ দেয়নি। আর মেট্রোর চলাচল, সময়সূচি, প্ল্যাটফরমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, যাতায়াতের মানসহ সামগ্রিকভাবে প্রায় শতভাগ যাত্রী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। প্রতিদিন মেট্রো রেলে যতসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করে, জরিপে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা এর প্রায় ২.৫ শতাংশ।
মোট ২৯টি প্যারামিটারে যাত্রীদের সন্তুষ্টির মাপকাঠি নির্ণয় করা হয়েছে বুয়েটের জরিপে। গত বছরের ১৭ জুলাই থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় দুই মাসে দেড় হাজার যাত্রীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপে বলে জানিয়েছে বুয়েট।
জরিপ শুরু সময় মতিঝিল পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেন চলত। যে ২০ শতাংশ যাত্রী পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়, তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ যাত্রী মেট্রো স্টেশনের বাইরের পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, স্টেশনের ফুটপাত চলাচলের উপযোগী না। সেগুলোতে হকার বসে যাচ্ছে। হাঁটার পথ ছোট হয়ে আসছে। ফুটপাতগুলোর প্রতি কর্তৃপক্ষের আরো নজর দেওয়া জরুরি বলে মনে করছে মেট্রোর যাত্রীরা।
আবার মেট্রো স্টেশনের সংযোগ সড়ক নিয়েও অসন্তুষ্টি রয়েছে কিছু যাত্রীর। তারা বলছে, মেট্রোর এক স্টেশন থেকে আরেক স্টেশনের চলাচল সুবিধাজনক। কিন্তু স্টেশন পর্যন্ত আসা এবং স্টেশন থেকে মূল গন্তব্যে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকাংশে অসুবিধা রয়েছে। এতে যাত্রীদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে। তবে মেট্রোতে আসন না পাওয়া নিয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগ নেই। যাত্রীরা বলছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় স্বল্প সময়ে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করতে তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
বুয়েট জানিয়েছে, সংজ্ঞা মেনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই জরিপটি পরিচালনা করা হয়। জরিপে মেট্রো রেল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ৪২টি প্রশ্নের উত্তর নেওয়া হয়। প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে যাত্রীদের সেবাসংক্রান্ত অভিজ্ঞতা জানার চেষ্টা করা হয়েছে। কিছু বিষয় নিয়ে যাত্রীদের অসন্তুষ্টি থাকলেও কোনো বিষয় নিয়ে যাত্রীদের তীব্র অভিযোগ ছিল না।
জরিপে মেট্রো রেলের ভাড়া নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে প্রায় ১৫ শতাংশ যাত্রী। তারা বলছে, মেট্রোর ভাড়া আরো কিছুটা কম হলে তাদের জন্য সুবিধা হতো। বাকি যাত্রীদের ভাড়া নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। কিন্তু প্রায় ৩০ শতাংশ যাত্রীর সংযোগ সড়কের ভাড়া নিয়ে অসন্তুষ্টি আছে।
মেট্রো রেলে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেছে, এর মধ্যে ৫৯.৪১ শতাংশ ছিল বাসের যাত্রী। আর ব্যক্তিগত গাড়িতে চলাচল করে, এমন যাত্রীদের মাত্র ৪.৫১ শতাংশ মেট্রো রেল ব্যবহার করেছে। মেট্রোতে সবচেয়ে কম উঠেছে যারা, ভাড়া করা কার ব্যবহার করে এমন যাত্রীরা। তারা মেট্রোর মোট যাত্রীর ২.৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞানীদের খোঁজে আশ্চর্য প্রোটিন ‘মাইয়া’, আর থাকবে না বন্ধ্যাত্ব
জরিপের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৪.৯৬ শতাংশ অটোরিকশা ব্যবহারকারী, ৬.৮ শতাংশ মোটরসাইকেল ব্যবহারকারী, ৫.৩ শতাংশ রিকশার যাত্রী, ৩.৬৫ শতাংশ ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলের যাত্রী এবং ২.৯৩ শতাংশ অন্যান্য পরিবহন ব্যবহারকারী মেট্রোতে চলাচল করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।