জুমবাংলা ডেস্ক : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর আগে থেকে বাঁধের ভাঙা ২৬ ও নতুন করে ৪ স্থান দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার ৮০টি গ্রামে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ১৫ হাজার পরিবার। আজ বুধবার মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ফেনী জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় যা এ যাবতকালে সর্বোচ্চ। ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কোথাও হাঁটু পরিমাণ পানি উঠায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঘনিয়ামোড়ার গ্রামের মো. মনির আহমেদ ভূইয়া বলেন, ‘১৯৮৮ সালে একবার ভয়াবহ বন্যায় বাড়ি ঘরে পানি উঠেছিল। এবারের বন্যা তার চেয়ে ভয়াবহ। বাড়ি ঘরে গতবারের চেয়ে বেশী পানি উঠেছে। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি।’
ফুলগাজীর সদর ইউনিয়নের ঘনিয়ামোড়ার গ্রামের কৃষক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ঘরে কোমর পানি। আমার ৪৫ বছর বয়সে এত পানি দেখিনি।’
স্থানীয় এলাকাবাসী বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে আমরা মাসে কয়েকবার পানিতে ডুবে ভোগান্তিতে পড়ছি। আমরা ত্রাণ চাই না, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ চাই।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহারিয়ার বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঁধের ভাঙা ৩০ স্থান দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। পানি নেমে গেলে মেরামত করা হবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জনগণের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।