জুমবাংলা ডেস্ক : মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের দক্ষিণচর এলাকায় কয়লাবোঝাই লাইটার জাহাজ এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী-১ ডুবে গেছে। এ সময় সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন ডুবে যাওয়া লাইটারের ১১ জন কর্মচারী। ডুবে যাওয়া লাইটার এমভি প্রিন্স অব ঘষিয়াখালী মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থান করা একটি জাহাজ থেকে কয়লাবোঝাই করে যশোরের নোয়াপাড়া ঘাটে যাচ্ছিল।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে লাইটারটি নদীতে ঘূর্ণিঝড়ের সময় তীব্র বাতাসের কবলে পড়ে ডুবোচরে আটকে তলা ফেটে ডুবে যায়।
লাইটার জাহাজটি ডুবন্ত অবস্থায় এখন মোংলা ও পশুর নদীর মোহনাস্থল দক্ষিণচর নামক স্থানে চরে উঠিয়ে রাখা হয়েছে। এ দুর্ঘটনার পর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার ও মেরিন বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরির্দশন করে। এছাড়া ডুবন্ত লাইটার জাহাজ ঘিরে কোস্টগার্ডের টহল দল অবস্থান করছে।
বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু জানান, বন্দরের ফেয়ারওয়ের হাড়বাড়িয়া এলাকায় অবস্থানে থাকা কয়লাবাহী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে ৮০০ মেট্রিক টন কয়লাবোঝাই করে যশোরের নোয়াপাড়া ঘাটে যাওয়ার জন্য ছেড়ে আসে লাইটারটি। দুপুরে পশুর নদীর কানাইনগর এলাকায় আসলে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির তীব্র বাতাসের কবলে পড়ে লাইটারটি ডুবে যায়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার (অপারেশন) আমিনুর রহমান জানান, পশুর চ্যানেলে লাইটার ডুবির ঘটনায় বন্দরে জাহাজ চলাচল ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।