আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্মৌর জেলা কারাগারে বন্দী থাকা কেরালার মুসলিম সাংবাদিক সিদ্দিক কাপান মুক্তি পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ৮৫০ দিনের বন্দীজীবন শেষে মুক্তি পেলেন তিনি। এর আগে গত বুধবার রাতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে তার মুক্তির নির্দেশ এসে পৌঁছায়।
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, এক লাখ টাকার বিনিময়ে কেরালার সাংবাদিক সিদ্দিককে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তার জামিন মঞ্জুর হয়েছিল ২০২২ সালের ২৪ ডিসেম্বর। কিন্তু বিভিন্ন আইনি জটিলতা দেখিয়ে প্রায় ৫ সপ্তাহ তাকে জেলে বন্দী রাখার পর মুক্তি দেয়া হলো।
বৃহস্পতিবার সকালে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সিদ্দিক কাপান বলেন, ‘২৮ মাস পর জেল থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাকে সমর্থন করার জন্য মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। এখন জেলের বাইরে বের হতে পেরে ভালো লাগছে।’
আটকের সময় তার কাছে কী কী পেয়েছিল পুলিশ- এমন প্রশ্নের জবাবে কাপান জানান, তার কাছে একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল, দু’টি কলম ও একটি নোটপ্যাড ছিল।
পরীক্ষার হলে ৫০০ ছাত্রীর মধ্যে নিজেকে একা দেখে জ্ঞান হারালো ছাত্র
সিদ্দিক কাপান ও আরো তিনজনকে ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের মথুরা থেকে হাতরসে যাওয়ার পথে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হাতরসে একটি দলিত মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল। সে সময় কাপানের দাবি ছিল যে, সাংবাদিক হিসেবে তিনি হাতরসের ওই ঘটনার রিপোর্ট করতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পুলিশ তার বিরুদ্ধে উগ্রবাদের সাথে সম্পৃক্ততা, অশান্তি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ আনে এবং তাকে গ্রেফতার করে। ‘ইউএপিএ’ আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে সিমি ও পিএফআই সদস্যদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের তত্ত্ব দাঁড় করায় যোগী সরকার।
সূত্র : আলজাজিরা, ডয়চে ভেলে ও ইটিভি ভারত
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।