বিনোদন ডেস্ক : একটা সময় ভারতের টেলিভিশন জগতের পর্দায় জনপ্রিয়তার শিখরে ছিল সোনপরী নামের একটি ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকটি সেই যুগের বাচ্চাদের কাছে ছিল অমোঘ আকর্ষণের জায়গা। এই ধারাবাহিকে সোনা আন্টি ছিলেন প্রধান চরিত্র। মূলত তাকে ঘিরেই এই ধারাবাহিকের গল্প আবর্তন করতো।
সেই যুগে সোনা আন্টি ছিলেন বাচ্চাদের সবথেকে পছন্দের একজন মানুষ। কিন্তু এই ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পরে এই সোনা আন্টিকে আর বেশি কোথাও দেখা যায়নি। কালক্রমে অনেক ধারাবাহিকও দখল করে নিয়েছিল সেই জায়গা। ফলে এই ধারাবাহিকের সাথে সাথেই হারিয়ে যান এই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র সোনা আন্টি।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই সোনা আন্টি চরিত্রে যে অভিনেত্রী অভিনয় করেছিলেন তার নাম ছিল মৃণাল কুলকার্নি। পরবর্তীতে আমরা তাকে একটি জনপ্রিয় বিউটি প্রোডাক্ট ব্র্যান্ড ভিকোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসাবেও দেখেছিলাম।
আদতে তিনি হলেন একজন মারাঠি অভিনেত্রী এবং বহু বছর ধরেই তিনি মারাঠি ইন্ডাস্ট্রিতে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে এসেছেন। মারাঠি টিভি শো স্বামীতে তার অভিনয় চরম প্রশংসিত হয়। সেখানে পেশোয়া মাধবরাও এর স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
এছাড়াও মারাঠি ইন্ডাস্ট্রিতে শ্রীকান্ত দ্য গ্রেট মারাঠা, হাসরাতেন, দ্রৌপদী, মীরাবাই, টিচার, খেলা এবং স্পর্শ ‘ ইত্যাদি টিভি শোতে অভিনয় করেন। বলি দুনিয়ার কিছু ধারাবাহিকেও তার অভিনয় প্রশংসা পায়।
তবে, আপনারা জেনে অবাক হবেন, টিভি দুনিয়ার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৃণাল কুলকার্নি, কখনো নিজের জীবনে অভিনেত্রী হতেই চাননি। পুনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী গ্রহণ করে তিনি দর্শনশাস্ত্র নিয়ে পিএইচডি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময়েই তার কাছে চলে আসে অভিনয়ের অফার।
সেই অফার তিনি অস্বীকার করতে পারেননি। তারপর থেকেই তিনি চলে আসেন গ্ল্যামার দুনিয়ায়। একাধিক ধারাবাহিকে অভিনয় করে তিনি হয়ে ওঠেন সেই যুগের নামজাদা একজন অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে পরিচালনার কাজও করেছেন।
তাঁর পরিচালিত ছবি ‘ তি এবং তি এবং ফরজান্দ’ সিনেমাহলে হিট হয়েছিল। এছাড়াও মেড ইন চায়না, কুছ মিঠা হো যায়ে, হাম দিওয়ানা দিল এর মত সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন বলি দুনিয়ায়। তবে এখন, তিনি আগের মত আর দেখতে নেই। বহু বছর সিনেমা জগৎ থেকে দূরে থাকার পরে কিছুদিন আগে ‘দ্যা কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।