জুমবাংলা ডেস্ক : ঊর্ধ্বতন এক র্যাব কর্মকর্তার নেতৃত্বে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ৯৫ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে পালানোর সময় স্থানীয় জনগণের পিটুনির শিকার হয়েছেন ওই র্যাব কর্মকর্তাসহ পাঁচ ব্যক্তি। শনিবার সকালে উপজেলার জামশা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বলছেন, এ ঘটনায় মূল হোতা র্যাব-১-এর গাজীপুর ট্রেনিং সেন্টারের ডিএডি মোহাম্মদ শামীমুজ্জামান। এদিকে লুট করা স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধান করতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি মাইক্রোবাস এবং র্যাবের আইডি কার্ড ও স্টিকার উদ্ধার করেছে।
এ ঘটনায় শামীমুজ্জামানের পাশাপাশি পাবনার আটঘরিয়ার পাটেশ্বর গ্রামের মো. আমেজুদ্দিন, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মধুখালী গ্রামের নাফিছুর রহমান, নগরকান্দা থানার রাধানগর গ্রামের মিরাজুল শেখ ও মাইক্রোবাসের চালক ঢাকার আশুলিয়ার মির্জানগরের খেজুরটেক গ্রামের মো. জানিফকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল সকাল ৭টার দিকে দোহারের জয়পাড়া এলাকার স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন হাওলাদারসহ তিন ব্যক্তি ৯৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে যাচ্ছিলেন তাঁর এক ব্যবসায়িক পার্টনারের কাছে। পথে র্যাব লেখা স্টিকারসহ একটি মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল অটোরিকশার গতিরোধ করে। তারা সুমন ও তার সঙ্গীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধরের পর কালো কাপড় দিয়ে তাদের চোখ ও হাত বেঁধে মাইক্রোবাসে তোলে। পরে কেড়ে নেওয়া হয় তাদের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার।
এদিকে সুমনের অটোরিকশার চালক মোবাইল ফোনে বিষয়টি স্থানীয়দের জানিয়ে দেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার জামসা বাজারে মাইক্রোবাসটি আটক করে স্থানীয় লোকজন অপহৃত ব্যবসায়ী সুমনকে উদ্ধার করেন। র্যাব পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিদের কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন মাইক্রোবাসে থাকা পাঁচ ব্যক্তিকে গণপিটুনি দেন ও গাড়িটি ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ওই পাঁচ ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুমন জানান, এই ঘটনায় তিনি সিংগাইর থানায় মামলা করেছেন।
সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, র্যাব পরিচয়ে স্বর্ণ লুট ও ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। র্যাব সদস্য পরিচয়দানকারী শামীমুজ্জামান আসলেই এ বাহিনীর সদস্য কিনা, তা নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। পরে নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি র্যাব-১-এর গাজীপুর ট্রেনিং সেন্টারে ডিএডি হিসেবে কর্মরত।
ওসি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শামীমুজ্জামান ভাড়া করা একটি মাইক্রোবাস ও ভাড়া করা লোকজন নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশ লুট হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারের চেষ্টা করছে। সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।