জুমবাংলা ডেস্ক : চলছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগণনার কাজ। আজ রোববার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ শেষ হয় বিকেল ৪টায়। এরপর নির্ধারিত বিরতি শেষে শুরু হয়েছে গণনা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯৯ আসনের মধ্যে ৭৫টিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ, ৬টিতে জাতীয় পার্টি, ১৭টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ১টিতে অন্য দল জয় পেয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া -কোটালীপাড়া) আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনপিপি প্রার্থী শেখ আবুল কালাম আম প্রতীকে ৪৬০ ভোট পেয়েছেন। আরেক প্রার্থী জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্যা গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২৫ ভোট।
সাতক্ষীরা-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন বিজয়ী হয়েছেন, সাতক্ষীরা-৪ আসনে বিজয়ী আতাউল হক দোলন। আসনের ১৪৩টি কেন্দ্রে তার প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৪০ হাজার ৪৬। আর বিএনএম দলীয় নোঙর প্রতীকের প্রার্থী এইচএম গোলাম রেজা পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৮৬ ভোট।
চট্টগ্রাম-১ আসনে মাহবুবুর রহমান রুহেল, চট্টগ্রাম-২ আসনে খদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মাহফুজুর রহমান মিতা, চট্টগ্রাম-৪ আসনে এস.এম আল মামুন, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিছুল ইসলাম মাহমুদ ও চট্টগ্রাম-৬ আসনে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী,
চট্টগ্রাম-৭ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি এই আসন থেকে এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ইকবাল হাছান (মোমবাতি) পেয়েছেন নয় হাজার ৩০১ ভোট। চট্টগ্রাম-৮ আসনে আবদুস ছালাম, চট্টগ্রাম-৯ আসনে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল,
চট্টগ্রাম-৯ আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম-১০ আসনে মহিউদ্দিন বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১১ আসনে এম এ লতিফ, চট্টগ্রাম-১২ আসনে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে এম.এ মোতালেব সিআইপি আর চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছেন মুজিবুর রহমান সিআইপি।
জয়পুরহাট-১ আসনে সামছুল আলম দুদু ও জয়পুরহাট-২ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৩৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী কাঁচি প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৫৭ ভোট।
বরিশাল-২ আসনে বেসরকারীভাবে জয়ী হয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, ঝিনাইদহ-৪ আসনে আনোয়ারুল আজীম, কুড়িগ্রাম-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৮৮ হাজার ২৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকেরপার্টির গোলাপফুল প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হাই পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৭৫৬ ভোট।
নাটোর-৩ আসনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিজয়ী হয়েছেন। পলক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম শফিক ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ৯৯৭ ভোট।
নোয়াখালী-৫ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের খাজা তানভীর আহমেদ। ফলাফলে দেখা গেছে, ওবায়দুল কাদের মোট ভোট পেয়েছেন ১,৮১,১৪৭টি। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বিন্দ্বী জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদ পেয়েছেন (লাঙ্গল) প্রতীক নিয়ে ৯,৭১৯ ভোট।
সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জয়ী হয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের ড. মোহাম্মদ সাদিক বিজয়ী হয়েছেন। সর্বমোট ৯০ হাজার ৫৯০ ভোট পেয়েছেন তিনি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭২১ ভোট। নওগাঁ-৩ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ৪৩ হাজারের বেশি ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন তরফদারকে হারিয়েছেন তিনি।
টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা) বিপুল ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের প্রবীণ নেতা এবং আট বাবের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু। ফলাফলে দেখা গেছে খান আহমেদ শুভ (নৌকা) পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮২৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর এনায়েত হোসেন মন্টু (ট্রাক) পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৫৪২ ভোট।
লালমনিরহাট-১ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহার হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৮৯,৯০৩ ভোট, লালমনিরহাট-২ আসনে নূরজাহান আহমেদ জয়ী হয়েছেন ৯৭,২৪০ ও লালমনিরহাট-৩ আসনে মতিয়ার রহমান ৭৬,৪০১ ভোট পেয়ে।
পটুয়াখালী-১ আসনে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি পেয়েছেন ৮১ হাজার ৫০৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নাসির উদ্দিন তালুকদার ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৮৭৪ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিজয়ী হয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে তিনি ২ লাখ ১৪ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ৬৬৭ ভোট। এর বিপরীতে আম প্রতীকে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শাহীন খান পেয়েছেন ৬ হাজার ৫৮৬ ভোট। আর ফুলের মালা প্রতীকে তরিকত ফেডারেশনের ছৈয়দ জাফরুল কুদ্দুছ পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।
রাজশাহী-২ আসনে নৌকার বাদশাকে হারিয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান। কাঁচি মার্কা নিয়ে তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৫,১৪১টি। অপরদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৩১,৪২৩ ভোট।
কুমিল্লা-২ আসনে বিজয়ী নৌকার অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুনশি ৪৬ হাজার ৪৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল পেয়েছেন ১৫ হাজার ৬৩১ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র এ কথা জানিয়েছন।
রংপুর-১ (গংগাচড়া-সিটি আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৭৩ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান (রাঙ্গা) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩৩২ ভোট।
খুলনা-৬ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. রশিদুজ্জামান। তিনি নৌকা প্রতীকে এক লাখ ৩ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম। তিনি পেয়েছেন ৫০ হাজার ২৬১ ভোট।
কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে বেসরকারীভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন। তিনি এই আসনে নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ১৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের রুবেল হোসেন মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ২০৫ ভোট।
ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপি মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। নরসিংদী-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ঈগল প্রতীকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলে রাব্বি খান। এর মধ্যে বিজয়ী সিরাজুল ইসলাম মোল্লা পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৯২ ভোট। আর আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বি খান পেয়েছেন ৪৩ হাজার ভোট।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ব্যারিস্টার সুমন পেয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মাহবুব আলী পেয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার ভোট।
জামালপুর-৩ আসনে বিজয়ী হয়েছেন মির্জা আজম। তিনি নৌকা প্রতিকে ভোট পেয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী জাপা মনোনিত শামছুল আলম লিফটন লাঙ্গল প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৬ ভোট।
পাবনা-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ ১ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র ঈগল মার্কার প্রার্থী পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ১৪ হাজার ৬৬৩ ভোট।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈনউদ্দিন মঈন। তিনি কলার ছড়ি প্রতীকে ৮৪ হাজার ১৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ঝিনাইদহ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মেজর জেনারেল অব. সালাহউদ্দিন মিয়াজী বিজয়ী লাভ করেছে। এ আসনে নৌকা পেয়েছে ৮ লাখ ৩০ হাজার ১৫ ভোট। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক মার্কা পেয়েছে ৬৪ হাজার ৯০৯ ভোট।
মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ আসনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জাতীয় পার্টির মো. মোতাহার হোসেন। নির্বাচনে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন। তার নিকটতম প্রার্থী মো. মোতাহার হোসেন সিদ্দীকী লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮২৬ ভোট।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে জাতীয় সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর থেকে দুই লাখ ৬ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন তিনি। নৌকা প্রতীক নিয়ে মতিয়া চৌধুরী পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ১৪২ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।
সিলেট-১ (সদর) আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে আব্দুল মোমেন। তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৯২ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ঐক্যজোটের মিনার প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল হক পেয়েছেন ২ হাজার ১৮১ ভোট।
সিলেট-৬ আসনে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বি ঈগল প্রতীকের প্রার্থী সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৪৮৮ ভোট।
দিনাজপুর-৪ (খানসামা ও চিরিরবন্দর) আসনে ৩৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এতে চতুর্থবারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবুল হাসান মাহমুদ আলী। মাহমুদ আলী পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৪৭ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক প্রতীকের তারিকুল ইসলাম তারিক পেয়েছে ৬২ হাজার ৪২৪ ভোট।
বান্দরবানে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর বাহাদুর উশৈসিং। তিনি ১ লাখ ৭২ হাজার ২৪০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী এ টি এম শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৪৩ ভোট।
যশোর-৬ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আজিজুর রহমান (আজিজ) বিজয়ী হয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে শাহীন চাকলাদার পেয়েছেন ৩৯ হাজার ২৬৯ ভোট। অন্যদিকে ৪৮ হাজার ৯৪৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আজিজুর রহমান।
ঢাকা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান) বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৫টি। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সালমা ইসলাম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৯৩০টি ভোট।
ভোলা-১ আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তোফায়েল আহমেদ। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের এ প্রার্থী পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৫ হাজার ৫১৯ ভোট।
সিরাজগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার ১৫। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিলটন প্রামানিক (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭ হাজার ৮৮ ভোট।
রংপুর-৩ আসনে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী। জিএম কাদের লাঙ্গল প্রতীকে ৮১ হাজার ৮৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৩২৬ ভোট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।