Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home যেভাবে গড়ে ওঠে কিশোর গ্যাং, যেসব কর্মকাণ্ড চালায়
জাতীয়

যেভাবে গড়ে ওঠে কিশোর গ্যাং, যেসব কর্মকাণ্ড চালায়

Shamim RezaSeptember 17, 2019Updated:September 17, 20194 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : তানিম আহমেদ (ছদ্মনাম) একসময় একটি কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বছর কয়েক আগে নিজ এলাকায় সমবয়সী কিশোরদের নিয়ে কিশোর গ্যাংটি নিজেই গড়ে তুলেছিলেন।

“শুরুতে মূলতঃ অন্যদের হামলা থেকে নিজেদের প্রটেক্ট করার জন্যই আমরা কয়েকজন বন্ধু একত্রিত হই। পরে বেশ বড় একটা গ্যাং তৈরি হয় আমাদের”।

“পরে আমরা দেখলাম, এটা একটা ট্রেন্ড। সবাই গুন্ডামি করছে, গ্যাং বানাচ্ছে, দেয়ালে দেয়ালে স্প্রে দিয়ে গ্যাংয়ের নাম লিখছে। তখন আমরাও শুরু করলাম। ৫/৬ টা গাড়ি নিয়ে একসঙ্গে মুভ করতাম। একসময় বেশ বড় একটা গ্যাং তৈরি হয় আমাদের।” বলছিলেন তানিম আহমেদ।

তবে গ্যাং তৈরি হওয়ার পর খুব দ্রুতই অন্য এলাকার গ্রুপগুলোর সঙ্গে সংঘাত শুরু হয় বলে জানাচ্ছেন মি. আহমেদ।

অনেক সময় তুচ্ছ কারণেও ঘটতো মারামারির ঘটনা। এক এলাকার ছেলে অন্য এলাকায় গেলে মারধরের ঘটনা ঘটতো।

কাউকে গালি দিলে, ‘যথাযথ সম্মান’ না দেখালে, এমনকি বাঁকা চোখে তাকানোর কারণেও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মেয়েলি বিষয় এবং সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব থেকেও অসংখ্য মারামারি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তানিম।

“আমাদের গ্যাংয়ে একসময় কয়েকটা আর্মস ক্যারি (অস্ত্র বহণ) করা শুরু করি আমরা। এসব দিয়ে মাঝে মধ্যে ফাঁকা ফায়ারিং করা হতো। তবে আমরা কাউকে গুলি করিনি কখনো।”

অস্ত্র আসার কিছুদিনের মধ্যেই তানিমদের গ্রুপে মাদকও ঢুকে পড়ে।

“আমাদের গ্যাংয়ের কয়েকজনের মধ্যে একটা সময় লোভ চলে আসে। গ্রুপটাকে কাজে লাগিয়ে টাকা আদায়ের ধান্দা শুরু করে কেউ কেউ। ছিনতাই শুরু হয়। আর মাদক নেয়া তো ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যায়”।

“দুয়েকজন বিভিন্ন অপরাধে জেলও খেটেছে। মারাও গেছে।”

ফলে নিজেকে রক্ষায় নিজের তৈরি গ্যাং থেকে একসময় নিজেই বেরিয়ে আসেন বলে দাবি করেন তানিম আহমেদ।

ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেয়ালে দেয়ালে অনেক কিশোর গ্যাংয়ের নাম লেখা গ্রাফিতি চোখে পড়বে।

ধানমন্ডি লেকের পাশে কয়েকটি সড়কে ঘুরেই আমি এরকম অন্ততঃ ১৫টি কিশোর গ্যাংয়ের নাম দেখতে পেয়েছি।

মূলতঃ স্কুলে পড়তে গিয়ে কিংবা এলাকায় আড্ডা দিতে গিয়ে শুরুতে মজার ছলে এসব গ্রুপ তৈরি হলেও পরে একসময় মাদক, অস্ত্র এমনকি খুনোখুনিতেও জড়িয়ে পড়ে।

কিশোর গ্যাং কেন তৈরি হচ্ছে?

সমাজবিজ্ঞানী রাশেদা ইরশাদ নাসির মনে করেন মূলতঃ দুটি কারণে কিশোররা এসব গ্যাং সংস্কৃতিতে ঢুকে পড়ছে।

প্রথমতঃ মাদক, অস্ত্রের দাপটসহ বিভিন্ন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।

দ্বিতীয়তঃ এখনকার শিশু-কিশোররা পরিবার, সমাজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যথেষ্ট মনোযোগ পাচ্ছে না।

ফলে কিশোরদের কেউ যখন বন্ধুদের মাধ্যমে কিশোর গ্যাংগুলোতে ঢুকছে এবং মাদক ও অস্ত্রের যোগান সহজেই পেয়ে যাচ্ছে তখন তার প্রলুব্ধ হওয়া এবং অপরাধপ্রবণ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

তিনি মনে করেন, একদিকে সমাজে অপরাধী হওয়ার সুযোগ বন্ধ করতে হবে। অন্যদিকে পরিবারে কিশোরদের একাকী বা বিচ্ছিন্ন না রেখে যথেষ্ট সময় দিতে হবে।

পুলিশের পদক্ষেপ:

গত একমাসে কিশোর গ্যাং-কেন্দ্রীক বেশ কয়েকটি অপরাধ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বাড়তি পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে।

গাজীপুরে এক কিশোর হত্যার ঘটনায় ‘ভাই-ব্রাদার’ নামে একটি কিশোর গ্যাংয়ের ৮ জনকে গ্রেফতারের কথা জানায় র‍্যাব।

অন্যদিকে ঢাকায় শুরু হয় কিশোর গ্যাং-বিরোধী অভিযান।

একদিনেই অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় শতাধিক কিশোরকে।

এর মধ্যে শুধু হাতিরঝিল থানাতেই আটক করা হয় ৮৮ জনকে।

যদিও পরে অপরাধ খুঁজে না পাওয়ায় ৮০ জনকেই ছেড়ে দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে থানা কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু কিশোর গ্যাং-বিরোধী এ ধরণের অভিযানে ঢালাওভাবে কিশোরদের আটকের ঘটনার সমালোচনাও হচ্ছে।

রাশেদা ইরশাদ নাসির বলছেন, যে কোন কিশোরকে আটক করে থানা হাজতে আনার আগে সে অপরাধী কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা উচিত পুলিশের।

তিনি বলেন, “কোন নিরপরাধ কিশোর কিংবা তার পরিবার যেন ভোগান্তির মধ্যে না পড়ে, হয়রানির শিকার না হয়। নিরপরাধ একজন কিশোরকে হুট করে সন্দেহের ভিত্তিতে আটক করা হলেও তা ঐ কিশোরকে ট্রমার মধ্যে ফেলে দিতে পারে”।

“সে যদি তাৎক্ষণিক ছাড়াও পায়, এরপরও এর একটা প্রভাব থাকতেই পারে। একইসঙ্গে ঐ পরিবারটিও সামাজিকভাবে হেয় হতে পারে।”

পুলিশের বক্তব্য:

পুলিশের মুখপাত্র সোহেল রানা অবশ্য বলছেন, নির্দিষ্ট কোন এলাকায় যখন তারা অভিযান চালান তখন আসলে তাৎক্ষণিক যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ তেমন থাকে না। কিন্তু আটকের পর যারা দোষী নয়, তাদের অভিভাবকদের ডেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে অভিভাবকদেরও খেয়াল রাখা উচিত যে তাদের সন্তান অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে যাওয়া-আসা করছে কিনা।

মি. রানা জানাচ্ছেন, সারাদেশেই পুলিশের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে তারা নির্দেশ দিয়েছেন কিশোরদের গ্যাং সংস্কৃতি এবং অপরাধ বন্ধ করতে স্কুল-কলেজ, অভিভাবক এবং সুশীল সমাজের সমন্বয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম করতে। সূত্র-বিবিসি 

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় ওঠে কর্মকাণ্ড কিশোর গড়ে? গ্যাং চালায় যেভাবে যেসব
Related Posts
প্রেস সচিব

বাংলাদেশ বীরদের দেশ : প্রেস সচিব

December 23, 2025
Land-s

জমির দলিলে আর এনআইডিতে নামের মিল নেই? জানুন সহজ সমাধান

December 23, 2025
নৌপরিবহণ উপদেষ্টা

মাফিয়াচক্রের কারণে অতীতে লাভ দেখেনি বিএসসি: নৌ উপদেষ্টা

December 23, 2025
Latest News
প্রেস সচিব

বাংলাদেশ বীরদের দেশ : প্রেস সচিব

Land-s

জমির দলিলে আর এনআইডিতে নামের মিল নেই? জানুন সহজ সমাধান

নৌপরিবহণ উপদেষ্টা

মাফিয়াচক্রের কারণে অতীতে লাভ দেখেনি বিএসসি: নৌ উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ভোটের আগে যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার নির্দেশ

Hadi

হাদির ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণের নির্দেশ

নতুন দায়িত্বে ডিআইজি

নতুন দায়িত্বে ৬ ডিআইজি

gun man

নিরাপত্তা বিবেচনায় ২০ জনকে গানম্যান দেয়া হয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বাংলাদেশ রেলওয়ে

বিএনপিকে ১০টি স্পেশাল রিজার্ভড ট্রেন দেওয়া হয়েছে : রেলপথ উপদেষ্টা

Police

পুলিশ সদর দপ্তরের ৬ ডিআইজি নতুন দায়িত্বে

হাদি হত্যার বিচার

৩০ দিনের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার দাবি

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.