সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তৈরি করুন

ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড

আপনি যদি মনে করেন আপনি একজন পার্সন, তবে আপনি একটা ব্র্যান্ড প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে আপনি আপনার ব্র্যান্ড ম্যানেজ করছেন? আপনি একজন চাকুরীজীবি, পেশাজীবী বা উদ্যোক্তা হলে আপনার পদোন্নতি, সাফল্য বা মুনাফার সাথে আপনার ব্যক্তিগত সুনামের সম্পর্ক সমানুপাতিক। আত্মউন্নয়ন এবং পার্সোনাল ব্র্যান্ডিংয়ে বিনিয়োগে উদ্যোগী করবে ও নতুন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত করবে।

ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড

আমরা বিভিন্ন পণ্য বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিংয়ের কথা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং বা নিজের ব্র্যান্ডিংয়ের কথা আমরা অনেকেই ভাবি না। যদি আপনার ভালো দিকগুলো অন্যদের জানানো যায়, তাহলে অন্যদের কাছেও আপনার গ্রহণযোগ্যতা বা ব্র্যান্ডমূল্য অনেকটা বেড়ে যাবে। সবাই আপনার কাজ, আগ্রহ, সামর্থ্য ও যোগ্যতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবে।

আপনাকে তখনই সবাই ফলো করবেন, যখন আপনার কথা বা পোস্ট অন্যদের উপকারে আসবে। তাই প্রয়োজনীয় কনটেন্ট পোস্ট করুন। সবার আগ্রহের বিষয় জানতে প্রশ্ন করতে পারেন। নিজের ভালো কাজগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন। সোশ্যাল মিডিয়ার নানা খারাপ দিকের কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ভালোভাবে ব্যবহার করে আমরা এর সুফল গ্রহণ করতে পারি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপে যুক্ত হয়ে নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপনের সুযোগ থাকে। একটি গ্রুপের সবার কিছু সাধারণ আগ্রহ বা মনোযোগের বিষয় থাকে। নিজেকে সবার সঙ্গে ভালোভাবে যুক্ত রাখতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত পোস্ট করা উচিত। আপনার দক্ষতা ও আগ্রহ আছে, এমন দুই-তিনটি বিষয়বস্তু নির্বাচন করে বৈচিত্র্যময় পোস্ট করুন। ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিদিন একটি পোস্ট দেওয়া আদর্শ।

নিজেকে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইলে অ্যাকাউন্টে নিজের সম্পর্কের পর্যাপ্ত নির্ভুল তথ্য থাকতে হবে। যেন আপনার প্রোফাইলে কেউ প্রবেশ করলে আপনার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারেন। আর একাধিক প্ল্যাটফর্মে তৈরি করা প্রোফাইলগুলোতেও যেন সামঞ্জস্য থাকে। লিংকড–ইন থেকেই অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের যোগ্য কর্মী খুঁজে নেয়। তাই ভালোভাবে একটি লিংকড–ইন প্রোফাইল তৈরি করে অন্যদের সঙ্গে যুক্ত হলে ক্যারিয়ারে নতুন সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী নিয়োগের আগে কর্মীর ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল ঘেঁটে তাঁর কার্যকলাপ, আচরণ ও চালচলন সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করে।

আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করছেন, তখন আপনি আরও ভালোভাবে সংযুক্ত বোধ করার জন্য দর্শকরা আপনাকে জানতে চান। যখন কেউ একটি ব্র্যান্ড বা ব্যক্তিত্বের সাথে সংযুক্ত বোধ করে, তখন তাদের আরও ভাল বিশ্বাস থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। একটি ব্র্যান্ড স্টেটমেন্ট হল আপনার অডিয়েন্সদের সাথে এমনভাবে সংযোগ করার একটি উপায় যা সংক্ষিপ্তভাবে, কিন্তু স্পষ্টভাবে আপনাকে একটি ব্র্যান্ড হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে। একটি ব্র্যান্ড স্টেটমেন্ট তৈরি করার সময়, মনে রাখবেন যে এটি আপনার দক্ষতার ক্ষেত্র, আপনি যে স্টান্ডারগুলির জন্য দাঁড়িয়েছেন, আপনি যে মিশনটি সম্পাদন করতে চান এবং যে দৃষ্টিভঙ্গিটি আপনি স্পষ্ট করেছেন তা হাইলাইট করা উচিত।

একটি কর্পোরেট ব্র্যান্ডিং কৌশলের মতো, সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ব্যক্তিগত ব্র্যান্ডিং একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ কনটেন্ট স্ট্রাটেজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। যদি আপনার লক্ষ্য আপনার সাইটে ট্রাফিক নিয়ে আসা হয়, তাহলে আপনার উচিত মানসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করার উপর ফোকাস করা যা আপনি চান যে লোকেরা সময়ে সময়ে পড়তে এবং শেয়ার করুক। কী এবং কখন পোস্ট করবেন তা নির্ধারণ করে আপনার একটি কনটেন্ট ক্যালেন্ডার তৈরি করা উচিত।এছাড়াও, সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ব্যস্ত প্ল্যাটফর্ম। সুতরাং, আপনি সব সময় আপনার ব্যবসা প্রচার করতে পারবেন না. সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করার সময় এটি মেনে চলতে হবে, আপনাকে একটি খ্যাতি তৈরি করতে হবে।