মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সর্বশেষ তথ্যানুসারে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত বকেয়া বেতন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। বছরের শুরু থেকে অপেক্ষমান শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন এই আশ্বাসে যে, খুব শিগগিরই তারা তাদের বেতন-ভাতা হাতে পেতে যাচ্ছেন।
বেতন সংক্রান্ত সর্বশেষ আপডেট
মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন যে, এপ্রিল মাসের প্রথম ধাপে মোট ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯০৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে গেছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮ জন স্কুল এবং ৮৭ হাজার ৩৮৯ জন কলেজ পর্যায়ের। ডিসেম্বর মাসের সপ্তম ধাপের ১ হাজার ২৪২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে স্কুলের ৮৬৯ জন এবং কলেজের ৩৭৩ জন রয়েছেন।
Table of Contents
জানুয়ারি মাসের চতুর্থ ধাপে ১ হাজার ৫৫৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। স্কুল পর্যায়ের ১ হাজার ১১৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ের ৪৪০ জন এতে অন্তর্ভুক্ত।
আংশিক ধাপগুলোর বিস্তারিত
ফেব্রুয়ারির তৃতীয় ধাপের আংশিক তালিকায় ১ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে গিয়েছে, যার মধ্যে স্কুলের ১ হাজার ১২৭ জন এবং কলেজের ৪৪৬ জন রয়েছেন। একই সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য মার্চ মাসের দ্বিতীয় ধাপের প্রস্তাবও প্রেরণ করা হয়েছে।
এই প্রক্রিয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি নীতিমালার অংশ হিসেবে ধারাবাহিকভাবে সম্পন্ন হচ্ছে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রতি সাড়া দিচ্ছে।
বৈশাখী ভাতা ও উৎসব ভাতা
ডিসেম্বর মাসের প্রস্তাবে বৈশাখী ভাতা এবং উৎসব ভাতা অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান। ১৭ মে রাতেই এসব প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বেতন ছাড়ের অগ্রগতি
বেতন ছাড়ের বিষয়টি বর্তমানে নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের উপর। শিগগিরই বেতন ছাড়ের আশ্বাস দিয়েছেন ডিজি নিজেই, যা শিক্ষক সমাজের জন্য আশার আলো।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলে কর্মরত কিছু প্রকল্পভুক্ত কর্মকর্তার কারণে এই প্রক্রিয়ায় কিছু বিলম্ব ঘটেছে। তবে এখন সেই ধাপগুলো ধীরে ধীরে অতিক্রম করে ফাইলগুলো মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে।
শিক্ষকদের প্রতিক্রিয়া ও দাবিসমূহ
শিক্ষক সমাজে দীর্ঘদিনের বেতন বকেয়া থাকা নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জাতীয়করণের দাবি এবং শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষকরা তাদের আওয়াজ তুলেছেন। এসব দাবির ফলেই সরকার আরও সচেতন হচ্ছে এবং বেতন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হচ্ছে।
পরবর্তী পদক্ষেপ কী?
বর্তমানে সকল ধাপের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে শিক্ষকদের বেতন পাঠানো হবে। শিক্ষকরা অনুরোধ করেছেন যেন ভবিষ্যতে এই প্রক্রিয়াগুলো আরও স্বচ্ছ এবং সময়মত সম্পন্ন করা হয়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, “বেতন” নিয়ে শিক্ষকদের উদ্বেগ কিছুটা প্রশমিত হলেও তারা চাইছেন সময়মত বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হোক, যাতে তাদের দৈনন্দিন জীবনে আর্থিক অনিশ্চয়তা না থাকে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভাতা: ২২৯ কোটি টাকা পুনঃউপযোজনের সিদ্ধান্ত
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলি (FAQs)
১. এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বেতন কবে দেওয়া হবে?
সবধরনের প্রস্তাব ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পরই বেতন ছাড় হবে।
২. ডিসেম্বরের প্রস্তাবে কি উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা অন্তর্ভুক্ত?
হ্যাঁ, বৈশাখী ও উৎসব ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৩. কেন এত দেরি হলো বেতন প্রদানে?
ইএমআইএস সেলের কিছু প্রকল্পভুক্ত কর্মকর্তার কারণে কিছু ধাপ বিলম্বিত হয়েছে।
৪. শিক্ষকদের বেতন ছাড়ের দায়িত্ব কার?
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর বেতন ছাড় করা হয়।
৫. শিক্ষকরা বেতন নিয়ে কোন কর্মসূচি পালন করেছেন?
জাতীয়করণ ও বেতন ছাড়ের দাবিতে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি ও ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন।
৬. এই বেতন ছাড় প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ধাপ কী?
মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন শেষে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রেরণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।