ভারতে ইলেকট্রিক যানবাহনের জগতে নস্টালজিয়ার ছোঁয়া নিয়ে পা রাখল কাইনেটিক ওয়াটস অ্যান্ড ভোল্টস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি তাদের নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার কাইনেটিক ডিএক্স (Kinetic DX) বাজারে নিয়ে এসেছে। এই স্কুটার দুইটি সংস্করণে পাওয়া যাবে— ডিএক্স (DX) এবং ডিএক্স প্লাস (DX+)।
ডিএক্স-এর মূল্য ধরা হয়েছে ১.১১ লক্ষ রুপি অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এবং ডিএক্স প্লাস-এর মূল্য ১.১৭ লক্ষ রুপি, যা প্রায় ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা (এক্স-শোরুম)।
নতুন কাইনেটিক ডিএক্স-এর ডিজাইনে স্পষ্টভাবে পুরনো কাইনেটিক হোন্ডা ডিএক্স-এর ছাপ রয়েছে। গঠন ও বাইরের নকশায় সেই ক্লাসিক মডেলের আদল দেখা গেলেও প্রতিটি অংশেই যুক্ত হয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া।
স্কুটারটির সামনে রয়েছে এলইডি প্রধান বাতি, যার দুই পাশে কাইনেটিক লোগো আকারের ডে-টাইম রানিং লাইট (ডি.আর.এল)। ছোট একটি কাচে (ভিসর) কাইনেটিক-এর নামাঙ্কন রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের পুরনো স্মৃতিকে নতুন করে ফিরিয়ে আনবে।
শক্তিশালী পারফরম্যান্স
স্কুটারটিতে রয়েছে ৪.৮ কিলোওয়াট শক্তির ব্রাশলেস ডিসি (BLDC) হাব-মাউন্টেড ইলেকট্রিক মোটর, যা স্কুটারটিকে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার সর্বোচ্চ গতিতে চালাতে পারে।
এতে ব্যবহার করা হয়েছে ২.৬ কিলোওয়াট-ঘণ্টার লিথিয়াম ফেরো ফসফেট (LFP) ব্যাটারি, যা আইডিসি (IDC) রেটিং অনুযায়ী ১১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে সক্ষম। (উল্লেখ্য, এখনো এআরএআই কর্তৃক অনুমোদিত রেঞ্জ প্রকাশিত হয়নি)।
থাকছে তিনটি চালনার ধরন—
-দূরত্ব মোড (রেঞ্জ মোড)
-শক্তি মোড (পাওয়ার মোড)
-গতিশক্তি মোড (টার্বো মোড)
সাথে বিপরীত গতি মোড (রিভার্স মোড)-ও রয়েছে, যা পার্কিংয়ে বিশেষ সহায়ক।
প্রযুক্তি ও বৈশিষ্ট্যে ঠাসা
এই স্কুটারে যুক্ত হয়েছে আধুনিক নানা বৈশিষ্ট্য, যেমন—
-স্বয়ংক্রিয় গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (ক্রুজ কন্ট্রোল)
-৮.৮ ইঞ্চির ডিজিটাল পরিমাপক পর্দা (ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার)
-ব্লুটুথ সংযোগ সহ অন্তর্নির্মিত স্পিকার
-চাবিবিহীন স্টার্ট সুবিধা
-উঁচু রাস্তা বা ঢালে থামলে সহায়ক ব্যবস্থা (হিল-হোল্ড অ্যাসিস্ট)
-সহজ চার্জ ব্যবস্থা (ইজি চার্জ সিস্টেম)— যেখানে চার্জারটি স্কুটারের শরীরেই সংযুক্ত থাকে, ফলে চার্জ দেওয়া আরও সহজ ও ঝামেলাহীন হয়।
-ডিএক্স প্লাসে স্মার্ট সংযোগ ব্যবস্থা
যারা আরও উন্নত সংযুক্তি চান, তাদের জন্য ডিএক্স প্লাস সংস্করণে থাকবে টেলিকাইনেটিক টেলিম্যাটিকস সিস্টেম। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিচের সুবিধাগুলি পাবেন—
-সীমাবদ্ধ অঞ্চল নির্ধারণ (জিও-ফেন্সিং)
-যানবাহনের অবস্থান অনুসরণ (ভেহিকেল ট্র্যাকিং)
-আমার কাইনেটিক কোথায় (ফাইন্ড মাই কাইনেটিক) ইত্যাদি।
ওয়ারেন্টি ও প্রতিযোগিতা
স্কুটারটির জন্য থাকছে ৩ বছরের বা ৩০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গ্যারান্টি, যা ইচ্ছা করলে ৯ বছর বা ১ লাখ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।
কাইনেটিক ডিএক্স নিঃসন্দেহে ভারতের ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে অতীত আর আধুনিক প্রযুক্তির এক দৃষ্টিনন্দন সমন্বয়। সীমিত ইউনিটে বুকিং শুরু হওয়া এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের জন্য এটি বাজারে দারুণ সাড়া ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।